ভূমি দস্যু ইব্রাহীমের দৌরাত্ম্যে ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫৪ অপরাহ্ন | জনদুর্ভোগ

"উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ" এমন একটি স্লোগান যখন দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাতীয় বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তখন যদি কেউ কৃষি জমিকে কেটে নদী বানায় তাহলে তাকে দেশদ্রোহী বললে ভুল হবে না। "কনিহাতর" নোয়াখালীর চাটখিল ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় বিল। এখন হুকির মুখে ৭নং বশিকপুর ইউনিয়নে ফসলী এই বিল । প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উওোলন করছেন দস্যু ইব্রাহীম।
শেষ হয়ে যাবে লক্ষ্মীপুর সদর ও নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কিছু অংশ সেই সাথে কৃষকের লালিত স্বপ্ন। বালু উত্তলনের ফলে জমি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পরিনত হবে নদী আর ধ্বংস হয়ে যাবে ৭নং বশিকপুরের আমির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ী ,চিলো দাসের বাড়ী, দরাজ বাড়ী, চার বাড়ী ও চাটখিল থানার সাহাপুর ইউনিয়নের দাসের বাড়ী, চিরোদ্দিন ফকিরের বাড়ী, ঠাকুর বাড়ী, মনির চেয়ারম্যানের বাড়ী, খলিপার বাড়ী, বড়ি বাড়ী, মিঝি বাড়ী, ওদুদ মেম্বারের বাড়ী, লিলাম বাড়ী। একসময় এই বিলে কি না হতো। সারা বছর কৃষক এই বিলে জমি চাষ করে সংসার চালাতো। এই কৃষকদের ছেলে মেয়েরা এখন সচিবালয় থেকে সবজায়গায় বিরাজমান। অথচ তাদের অতীত স্মৃতির এই বিল এখন নিশ্বেষ হওয়ার পথে। কৃষকের চোখে এই বিল একসময় ছিল স্বপ্নের চারন ভূমি অথচ আজ তা ধ্বংস স্তুপ। আর এর মূলে রয়েছে ভূমি দস্যু ইব্রাহীমের দৌরাত্ম্য।
বালু সম্রাট ইব্রাহীম বোন জামাইয়ের টাকায় সে শুরু করে ব্রিকফিল্ড যার নেই কোন পরিবেশের ছাড়পত্র। এই ব্রিকফিল্ডের মাটি সংগ্রহে সে আশে পাশের সব জমি রাতের অন্ধকারে কেটে নিচ্ছে। এভাব উত্থান হয় দস্যু ইব্রাহিমীর। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ। প্রবাসীদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক করে বাগিয়ে নিচ্ছেন টাকা পয়সা। এলাকাবসীর অভিযোগ, মালিক কে না বলেই রাতের অন্ধকারে ড্রেজিং মেশিনে কেটে নিচ্ছে জমি আর দিনের বেলায় অসহায় মালিককে নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে লিখে নিচ্ছে জমি। তারা চায় না শত কষ্টের মাঝেও আগলে রাখা জমি হারাতে। তাই এলাকাবাসী ইব্রাহীম এর হ্রাস টানতে আইনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার দস্যু ইব্রাহীমের কঠিন শাস্তি দাবী করেন যাতে করে আর কোন দস্যুর জন্ম না হয় এই অঞ্চলে।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে যখন আবাদী জমি কমে যাচ্ছে তখন এমনিতেই পরিবেশ হুমকির মুখে। এলাকাবসীর অভিযোগ এই বিল থেকে ইব্রাহীম কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে। আর এই ভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে একসময় এই বিল সাগর হয়ে যাবে যার প্রভাব পড়বে পরিবেশে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ কে তরান্বিত করতে এলাকাবাসী ইব্রাহীম এর শাস্তি দাবী করেন। তারা ল্ক্ষ্মীপুরের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো নিয়ে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ডিসির নিকট স্মারকলিপি দিবেন। প্রয়োজনে মামলা করবেন তবুও ভূমি দস্যু ইব্রাহীমের হ্রাস টানতে চান তারা। এরই মধ্যে এলাকাবাসী ৭নং বশিকপুরের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদী ও শাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নজরে আনেন বিষয় টি। তবে এলাকাবাসীর আবেদন পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকি ইবরাহীম কে যেন খুব দ্রত শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।