চট্টগ্রাম বন্দরের আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কনটেইনার জট

 প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৩:২৬ অপরাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বন্দরের  আশঙ্কাজনক হারে  বাড়ছে কনটেইনার জট


জাহেদ কায়সার  (চট্টগ্রাম)  :


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের দফায় দফায় কর্মবিরতির ও শুল্কায়নে ধীরগতির ফলে  চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে আশংকাজনক হারে কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে।   মঙ্গলবার (২৭ মে) সবশেষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ টিইইউস কনটেইনার রয়েছে। তবে সকাল পর্যন্ত বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ ছিল ৮৭টি। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হয়েছে ৪৯টি কার্গোবাহী (খোলা পণ্য) জাহাজে। অপেক্ষমাণ ছিল ১৩টি কনটেইনারবাহী জাহাজ। জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোড হয়েছে ১২টি জাহাজে। এর আগে, বন্দরে গত ২০ মে রেকর্ড ৪৪ হাজার ২৩১ টিইইউস কনটেইনার জমা হয়। এরমধ্যে ৪১ হাজারে নেমে এলেও আমদানি অনুপাতে শুল্কায়ন না হওয়ায় খালাস বিলম্বিত হয়। এতে আমদানি কনটেইনার বন্দরে নামলেও আনুপাতিক হারে খালাস হয়নি এবং রফতানি কনটেইনার জাহাজীকরণ বিলম্বিত হওয়ায় কনটেইনার জট বেড়েছে।  



বন্দরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে কনটেইনার বন্দরে নেমেছে ৬৫১১ টিইইউস, ঢাকা আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) থেকে এসেছে ৬২ টিইইউস। অফডকগুলো থেকে রফতানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এসেছে ২৬৯৫ টিইইউস এবং খালি কনটেইনার এসেছে ৮০৭ টিইইউস। একইভাবে ৩০০৯ টিইইউস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। ৭৬ টিইইউস কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে।   জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যান। গত রোববার রাতে এই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেন তারা। তবে কয়েকদিনের আন্দোলনের প্রভাব পড়ে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। খালাস কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক থাকলেও জট খুলতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।  বন্দর  ব্যবহারকারীরা  বলছেন - ঈদুল আজহার আগে শিল্পকারখানাগুলো টানা ১০ দিনের ছুটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে কনটেইনার ডেলিভারির গতি আরও কমে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এনবিআর, কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফিডার অপারেটর ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।





জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: