৮ টাকা কেজি! আলু চাষিদের মাথায় হাত!
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ন | অর্থ ও বাণিজ্য

গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার আলু চাষের দিকে ঝুঁকেছিলেন চাষিরা। আর বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় সিন্ডিকেটের দখলে ছিল আলু বীজের বাজার।
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি দাম দিয়ে কৃষকদের বীজ আলু কিনতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। এর ফলে আলু উৎপাদনের ব্যয় প্রতি একর জমিতে বেড়েছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তাই লোকসানের মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।
কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার প্রায় সব উপজেলায় হচ্ছে আলুর চাষ। সমতল ভূমিতে যেমন চাষ হচ্ছে, তেমনি চাষ হচ্ছে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ফুলকুমারসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর অববাহিকায়। জেলার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার হেক্টর হলেও চাষ হয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে সার ও কীটনাশকের সঙ্গে বীজ আলুর বাড়তি দামে আলু চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। সরকার নির্ধারিত ৬০ টাকার বীজ আলু কৃষকদের কিনতে হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
বর্তমানে কুড়িগ্রামে কিছু কিছু আগাম আলু উত্তোলন হলেও এখনও অধিকাংশ জমিতে আলু উত্তোলন বাকি রয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম ২০/২৫ টাকা হলেও পাইকারি বাজারে ১৩ থেকে ১৬ টাকা কেজি। কৃষকরা বিক্রি করছেন ১০ থেকে ১২ টাকায়। অথচ এবার সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৫ থেকে ২৭ টাকা। মাঠ পর্যায়ে সব আলু উত্তোলন হলে দাম আরও কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই পর্যাপ্ত দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন হাজারো কৃষক।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তার চরে আরিফ হোসেন দুই একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আলু বিক্রি করছি ৮ টাকা কেজি দরে। অথচ আমার আলুতে খরচ হয়েছে কেজি প্রতি ২৫ টাকার মতো। সব মিলিয়ে দুই একরে আমার লোকসান হবে দুই লাখ টাকা। ’আলু চাষি আরিফ আরও বলেন, ‘শুধু আমিই না, আমাদের এলাকার অনেক কৃষক এবার আলু চাষ করে পথে বসে যাবে!’