রাজনৈতিক মোড়লীপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই মার্কিনীদের মূল লক্ষ্য
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ০৮:২৯ অপরাহ্ন | সম্পাদকীয়

এহছান খান পাঠান :
গণতন্ত্রের প্রতি পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের দরদ নতুন কিছু নয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার মতো অতি আকর্ষণীয় অস্ত্রগুলোকে ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থসিদ্ধির কূটনীতিকে দুনিয়াব্যাপী সম্প্রসারিত করে। গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর মানবতার শ্লোগান, সবই তাদের ভেলকিবাজি!! ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার করে, রাজনৈতিক মোড়লীপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই তাদের মূল লক্ষ্য।
বন্ধুত্ব, রাগ-অনুরাগ, ভালোবাসা এর কোন কিছুই পশ্চিমা দেশের আইন কানুন, রীতিনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। ২০১৩ সালে গার্মেন্টস শিল্পে যথোপযুক্ত কাজের পরিবেশ না থাকার অজুহাতে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত এক দশকে বাংলাদেশের শিল্প পরিবেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ সম্মত শিল্প কল-কারখানার অনেকগুলো এখন বাংলাদেশে। জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে শাসক সরকারের পক্ষ থেকে দেন দরবারও কম হয়নি, কিন্তু অগ্রগতি এখনো শূন্যের কৌটায়!
যুক্তরাষ্ট্রের এ ‘ ভিসা নীতি’র নিষ্পেষণ যে কত যুগ চলবে বিধাতাই তা ভালো জানেন! যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আজ যারা চরম আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন, এদের সবাই যে একদিন ভিসা নীতির অক্টোপাসে হাহুতাশে নিমজ্জিত হবেন, তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আজ এ নিয়ে যাদের মাঝে আনন্দ উন্মাদনা, খাল কেটে এরা কত ভয়ংকর কুমির দেশে এনেছেন, সময়ই তা বলে দেবে!
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান সহ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আর স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিবৃতির সার সংক্ষেপ মোটেও ভিসা নীতিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ নয়। কীভাবে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে, এর কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তাতে নেই।
(এহছান খান পাঠান, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ)