ভাইরাল হয়ে বিপাকে সেই ‘ফুটপাতের বুফে’র মালিক, ভেঙে পড়লেন কান্নায়
প্রকাশ: ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন | ভিন্ন খবর

ফুটপাথের পাশে মালিক ও কর্মীবিহীন হোটেলে একাই সব সামলান মিজান। রান্না করেন নিজেই, তারপর খাবার সাজিয়ে রাখেন। হোটেলে আসা ক্রেতারা যে যার মতো খাবার নিয়ে খেয়ে একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাকা রেখে যান। কেউ কম দেন, কেউ দেন না—তবু চলছিল তার ভাতের হোটেলটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর হোটেলটি আলোচনায় উঠে আসে।
ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে। অনেক গ্রাহক অযাচিতভাবে বেশি খাবার নিয়ে কম টাকা দিচ্ছেন, কেউ আবার একেবারেই টাকা দিচ্ছেন না। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন হোটেল সরাতে চাপ দিচ্ছে।
ভাইরাল হওয়ার পর ‘ফুটপাতের বুফে’ নামে খ্যাত এই হোটেলে বেচা বিক্রি কমার পেছনে একদল ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দায়ী করলেন মিজান। মিজান জানান, ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা দোকানে আসায় রান্নার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলে খাবার ঠিকমতো রান্না করা যাচ্ছে না। আগে দিনে যেখানে ১২০০ টাকার বেশি বিক্রি হতো, এখন নামতে নামতে ৫০০–৬০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বেশি হয়ে গোশত তিন চার পিস করে নিয়ে খেয়ে চলে যায়, আমি কিছু বলতে পারি না। আমি এক ব্যাগ গোশত পাক করি ১০ কেজির, অথচ ডিব্বায় মাত্র ১ হাজার টাকা হয়।’
প্রশাসনের চাপের প্রসঙ্গে মিজান বলেন, ‘পুলিশ এসে আমাকে না করার পরে আমি উল্টাপাল্টা কথা বলেছি তাদের প্রধানকে নিয়ে। অনুরোধ, যেন তারা রাগ না করেন। আমি তো তেমন শিক্ষিত না, যা বুঝি তাই করি।’ এরপরেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মাগরিবের আগেই বাসায় চলে যেতে হয় বলে জানিয়ে মিজান বলেন, স্ত্রীও এখন তাকে সহ্য করতে পারছেন না। ব্যবসা চরম মন্দায়। সবাইকে অনুরোধ জানালেন, যেন তার হোটেলটি নষ্ট না করা হয়।