সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার অংশে খানাখন্দ আর গর্ত
প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট ২০২৩, ০৭:০৬ অপরাহ্ন | সারাদেশ

শিব্বির আহমদ(ওসমানীনগর):
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার অংশজুড়ে খানাখন্দ আর ছোট-বড় গর্তে বেহাল দশা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণহানির মতো বিয়োগান্তক ঘটনাও রয়েছে।
এতে করে মাঝে মাঝে বাজারের ভিতরে দুর্ঘটনার শিকার হন সাধারণ পথচারীগণ। বর্ষা মৌসুমে এসব খানা খন্দ আর গর্তে বৃষ্টির পানির সাথে ময়লা জমে কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। দুরপাল্লার গাড়ীর চাকার চাপায় খানা খন্দ আর গর্তের ময়লা ছিটকে পড়ে দুর দুরান্ত থেকে বাজারে আসা লোকজনের কাপড় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া রোদ দিলে এসব ময়লা কর্দমাক্ত পানি শুকিয়ে ধুলো হয়ে উড়ে নষ্ট করছে বাজারের দোকানপাটের পণ্য সামগ্রী। বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা সাধারণের চোখের রোগবালাই।
বাজারের দাসপাড়া রোডের মুখ, হাজী নসিব উল্লাহ মার্কেটের সামন, আল গোলাপ মার্কেটের সামন, রাজভোজন পার্টি সেন্টারের সামন, খাদিমপুর সড়কের মুখে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা খন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের মধ্যখানে হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে এবং খানা খন্দে বৃষ্টি দিলে পানি জমে থাকে। বৃষ্টির পানিতে ফুটপাতের ময়লা মিশে একাকার হয়ে নষ্ট করছে বাজারের পরিবেশ। বাজারের নর্দমার অবস্থা ভাল না থাকায় এসব ময়লা পানি দীর্ঘদিন জমে থেকে কাঁদা হয়ে রোদে শুকায়। বৃষ্টি থেমে গেলে এসব ময়লা কাঁদা শুকিয়ে গাড়ির চাকার সাথে উড়ে নষ্ট করছে বাজারের দোকানপাটের পণ্য সামগ্রী।
মহাসড়কের বাজারের ভিতর এসব খানা খন্দ আর গর্ত দীর্ঘদিনের। কিছুদিন পর পর কর্তা ব্যক্তিরা কিছু ইট দিয়ে গর্তগুলো ভরে দিয়ে যান। সপ্তাহখানেক চলার পর ভারী যানবাহনের চাকায় আবার যেই সেই। গর্তে ইট রেখে গেলে বড় বড় লরির চাকার চাপে এসব ইট ভেঙ্গেচুরে বাতাসের সাথে উড়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে জলের সাথে মিশে কাদা হয়ে ভদ্রলোকের জন্য হয় চরম দুর্ভোগের উপকরণ। সীমাহীন কষ্টের মধ্যে চলতে হয় বাজারে আসা সাধারণ লোকজন ও স্থানীয় স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।
বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, মধ্য বাজারের মাঝখানে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। ধূলাবালির কারণে দোকানপাটে বসা দায়। অতিরিক্ত ধূলার কারণে সর্দি জ্বর লেগেই থাকে। আব্দুল হালিম সুমন বলেন, মহাসড়কের হাজী নসিব উল্লাহ মার্কেটের সামনের ময়লা পানি আর কাদা সর্বদা লেগেই থাকে। বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি আটকা পড়ে এসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলাউর রহমান আলা বলেন, মহাসড়কের বাজার অংশের অবস্থা খুবই নাজুক। ময়লা কাদার কারণে স্কুল কলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা ভালো কাপড় পরে হাঁটার উপায় নেই। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ।
এ ব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে মেরামত কাজ চলছে, ঠিক হয়ে যাবে। একই স্থানে বার বার গর্ত এবং খানা খন্দ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে মহাসড়কের দু’পাশের ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো নয়। তাই কাজ করার পরেও নষ্ট হয়ে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।