মুল্যহীন ধান,কৃষকের মাথায় হাত
প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন | জনদুর্ভোগ

আরিফ আহমেদ
ধানের যে দাম তাতে কামলা পাওয়া মুশকিল হয়ে পরেছে। আজকে আব্বা ফোন দিলো, দিয়ে বললো বাবা ধান কাটতেছি কিন্তু কামলা পাওয়া যাচ্ছেনা যদিও পাওয়া যায় তাতে আমাদের পোশায় না। ধানের থেকে কামলার দামই বেশি।
তো আমি বললাম আব্বা চিন্তা করিওনা আমরা ধানের দাম বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করতেছি ইনশাআল্লাহ দাম বেড়ে যাবে। এবার আব্বা একটু রেগে গিয়ে বললো বাবা আমাদের ধানের দাম বাড়লেই কি আর না বাড়লেই কি মোটকথা আমাদের খাবারের জন্য ধানগুলো গোলায় তুললেই হলো। আমরা কি ধান বিক্রি করে সংসার চালাই নাকি!
কিছুটা হলেও সবার মধ্যেই সন্দেহ জাগতেছে আসলে এভাবে বলার কারন কি! হ্যা বলার কারন হচ্ছে বাবা আমার শিক্ষক, বড় ভাই ব্যবসা নিয়ে আছে আর মেঝো ভাই সরকারি চাকরিতে কর্মরত এবং সংসারে আমি পড়াশুনায় আছি। মোটের উপর আমাদের কৃষিতে তেমন মনযোগ নাই।
এরকম যে পরিবার গুলো আছে তাদের ধানের দাম বাড়লেও কি আর না বাড়লেও কি! কিন্তু যাদের পুরো পরিবারটাই কৃষি নির্ভর তারা কি করবে। পরিবার চলে ছয় মাস পর ধানের ফলনের উপর নির্ভর করে।
বর্তমানে সরকার সরকারি চাকুরিজীবিদের বেতন শুধু বাড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কৃষকের শ্রমের মূল্য তাদের কাছে কিছু না।
কৃষকের না দিচ্ছে ভর্তুকি আবার না দিচ্ছে ধানের মূল্য।
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো বাংলাদেশে কৃষক জাদুঘরে ছাড়া কোথাও পাওয়া যাবেনা। যেখানে আমাদের দেশে ব্যাপকহারে দিনেরপর দিন জনসংখ্যা বৃব্দি পাচ্ছে মানুষের দ্রব্যমুল্যের চাহিদা মেটানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
মানুষের কৃষির উপর অনিহা সৃষ্টি হয়েছে কারন এখন চাকরিতে যে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তাতে যে কেউরি চাকরিতে আগ্রহ থাকবে। আর তাই সবাই চায়, কৃষিটাকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু করার। আর এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে কিছুদিন পর খাবারের সংকট ব্যাপক হারে দেখা দিবে।
তাইতো সরকারের উচিৎ কৃষকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান বাজেট বরাদ্য রাখা, যাতে করে এই কৃষি প্রধান বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ন হয় খাদ্যে।
আরিফ আহমেদ, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর এ অধ্যায়নরত।