গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাঘুমৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন | সারাদেশ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাঘুমৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ, নিজের স্ত্রীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া, গাছ বিক্রি,বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘর তৈরি করা নিজের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেয়া,স্কুলের নিজস্ব জায়গায় মার্কেট তৈরি করে বিক্রি করা,শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজ হাতে রাখা এবং ফ্যান ও ল্যাপটপ নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জেলা কার্যালয়,জেলা শিক্ষা অফিসে,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে,বিভাগীয় কমিশনার,নিরীক্ষা ও পরিদর্শন অধিদপ্তর,ঢাকা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মিতা আহমেদ ও স্থানীয়রা।
অভিযোগে বলা হয়, গোলাম মাওলা ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করার সময় কোনরকম অভিজ্ঞতা এবং বি এড সনদ ছাড়াই বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পান। নিয়োগকালীন সময় থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী হাবিবুর রহমান ও স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের ফ্যান নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার ও ল্যাপটপ তার শ্যালককে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার তার বাসায় নিয়ে ব্যবহার করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তিনি বিদ্যালয়ের কাজের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে চলে যান। নিজের খেয়ালখুশি মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। তার এসব কর্মকাণ্ডে অন্য শিক্ষকরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দোষ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টার পর তাকে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন,আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।