নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের বাজেট দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে উঠেছে- ডঃ আফরোজা পারভীন
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন | ভিন্ন খবর
নারী উন্নয়ন শক্তি (এনইউএস) আজ বনশ্রীর এনইউএস ট্রেনিং সেন্টারে এক প্রাণবন্ত ও অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্যাম্পেইন “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর এই ক্যাম্পেইন পালিত হয়, যার উদ্দেশ্য নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমষ্টিগত পদক্ষেপকে জোরদার করা।
এ বছরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নারী উন্নয়ন শক্তি (এনইউএস) এবং সহযোগিতা প্রদান করে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ), ফোরাম ফর কালচার অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (এফসিএইচডি), এবং ইয়াং ওম্যান ফর ডেভেলপমেন্ট রাইটস অ্যান্ড ক্লাইমেট (ওয়াইডব্লিউডিআরসি)।
এনইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আফরোজা পারভীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা দূর করতে কমিউনিটি, সরকারি সংস্থা এবং সিভিল সোসাইটির সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু নারীর সমস্যা নয়; এটি একটি সামাজিক সমস্যা, যার সমাধানে তাৎক্ষণিক ও ধারাবাহিক উদ্যোগ প্রয়োজন। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের বাজেট দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।"
এফসিএইচডি-এর চেয়ারপারসন শাহিদা ওহাব তাঁর বক্তব্যে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে সচেতনতা, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন—এই তিনটি উপাদান একটি বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য।
বিএসএএফ-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্থার সদস্য ড. সুলতান মোহাম্মদ রাজ্জাক। তিনি কিশোরী ও শিশু অধিকার সুরক্ষার সাথে নারীর প্রতি সহিংসতার আন্তঃসম্পর্ক তুলে ধরে বলেন যে কিশোরী মেয়েদের ওপর সহিংসতা পরিবার ও সমাজে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ওয়াইডব্লিউডিআরসি-এর প্রতিনিধিত্ব করে কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন আলোচনা করেন সামাজিক ও জলবায়ুজনিত সংকটে তরুণ নারীদের ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে। তিনি নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুবসমাজের অধিক সম্পৃক্ততা এবং জলবায়ু-সংবেদনশীল নীতিমালার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে একটি সমষ্টিগত অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়—একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনে একযোগে কাজ করার। পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৬ দিনব্যাপী এনইউএস ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
