করোনায় অসহায় মানুষের পাশে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক পরিবার

 প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন   |   সোস্যাল মিডিয়া

করোনায় অসহায় মানুষের পাশে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক পরিবার

সমগ্র বিশ্বের মত বাংলাদেশেও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছে দেশের আপামর মধ্যবিত্ত, অসহায়, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র, দুস্থ ও গরীব খেটে খাওয়া মানুষেরা।


আর এই ঘর বন্দী জীবনদশায় মানবেতর জীবন যাপন করা সমাজের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলোর জীবনযাপন সহজ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবার। প্রাথমিকভাবে ১০৫ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবার।


শিক্ষক পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএসএমআরএসটিইউ টিচার্স এসোসিয়েশন এর ফেসবুক গ্রুপে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল আরেফিন অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য একটি পোস্ট দেন, এগিয়ে আসেন অন্য শিক্ষকরাও। গঠন করা হয় কোভিড-১৯ এমার্জেন্সী ফান্ড।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল আরেফিন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "আমরা প্রাথমিকভাবে গোবরা, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, কোটালীপাড়া, টুংগীপাড়া, কাশিয়ানী উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, দরিদ্র প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল,২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল,২ কেজি পেয়াজ, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ১/২ কেজি মুড়ি, ১ টি সাবান প্রদান করেছি।


আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে পৌছাতে চাই আমরা, সেজন্য সবার সহযোগিতা এবং সমর্থন আশা করছি"।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাসিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রাকিবুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামছুল আরেফিন, শিক্ষক সমিতির সদস্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ এমদাদুল হক।


অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকান্ত বিশ্বাস, গণিত বিভাগের প্রভাষক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।


রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: ইমদাদুল হক  বলেন,"অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে যিনি আমাকে এমন একটি মহৎ উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত রেখেছেন। এই কয়দিনে দেখেছি আমার প্রাণ প্রিয় শিক্ষার্থী এবং সহকর্মীবৃন্দ তাদের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তারা এগিয়ে এসেছেন মানবতার সেবায়।


আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি যদিও আমি ছাত্র জীবনে এই ধরনের উদ্যোগের সাথে সবসময়ই ছিলাম। আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারব। আমাদের মনোবল আমাদেরকে জয়ী করবে। আমাদের মনুষ্যত্ব জয়ী হবে"।


আগামীতেও এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সোস্যাল মিডিয়া এর আরও খবর: