পৃথিবীকে প্রাণবায়ুপূর্ণ রাখতে অরণ্য সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের আহবান তথ্যমন্ত্রীর

 প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন   |   পরিবেশ ও জলবায়ু

পৃথিবীকে প্রাণবায়ুপূর্ণ রাখতে অরণ্য সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের আহবান তথ্যমন্ত্রীর


তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কার্ব-ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে অক্সিজেনের মতো প্রাণবায়ুতে পৃথিবী ভরিয়ে দিতে পারে একমাত্র গাছ। তাই প্রত্যেক মাসে বা সব অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা এবং অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ে (ইউএসটিসি) ২০২৫ সালের মধ্যে জিরো কার্বন স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য ঘোষণা এবং ইউএসটিসি’তে 'নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।  


ইউএসটিসি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১-এর সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চায় উল্লেখ করে পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, মেডিসিন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি এবং লাইফ সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ বছরেরও অধিক একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বসহ চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন জলবায়ু ও পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে এবং এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি ও জাতির উন্নয়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।


কার্বন ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সম্পর্কে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, হাইপার-কানেক্টেড ডিজিটাল লাইফ একটা সমান্তরাল জগৎ তৈরি করেছে। নিজেদের  বাঁচিয়ে রাখতে, সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পরিবেশবান্ধব জীবনের কোন বিকল্প নেই।


সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, টেকনোলজির ব্যবহারে আমরা যত দ্রুত এগোচ্ছি তত দ্রুত সমাপ্তি রেখার দিকে পৌঁছে যাচ্ছি। সে কারণে, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে যে পদচিহ্ন আলোর দিকে দিকনির্দেশ করে, সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করাই এখন একমাত্র উপায়।


ইউএসটিসির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক ডা. শেখ মাহসিদ নুর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ট্রিপল-ই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম, অধ্যাপক এ এম এম এহতেশামুল হক প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।


অনুষ্ঠান শেষে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ অভ ইউএসটিসি-২০২৫ প্রোগ্রামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারী বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি ইউএসটিসিকে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘জিরো কার্বন’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।



পরিবেশ ও জলবায়ু এর আরও খবর: