৫ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ (২)

 প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন   |   মতামত

৫ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ (২)

(পুর্ব প্রকাশের পর)


গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে মুন্সিয়ানা দেখানোর পাশাপশি ব্যাপক পারদর্শিতা অর্জন করেছে। ব্যয়ের অংক বেশী হলেও নিজেদের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু এখন দক্ষিন অঞ্চলের সমবৃদ্ধির ধার উম্মুক্ত করে দিয়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ শেষে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সম্প্রতি পায়রা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে, যা দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইজেড উৎপাদন কাজও শুরু হয়েছে। আশির দশকে স্থাপিত ইপিজেড সমূহের সাফ্যলের কারনে ইজেড সমুহ ও ভালো করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগন। গত বছর দ্য ইকোনমিস্ট ৬৬টি সবল অর্থনীতির তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে নবম। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) অনেক সূচক অর্জন করে বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে পেরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এমডিজিতে দারিদ্র্যের হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কমাতে সক্ষম হয় এবং এমডিজি অর্জনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে । টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের লক্ষণীয় অগ্রগতি রয়েছে। এবার আমরা বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি দেশের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষন করে আমরা দেখতে পাই। যে সকল দেশের জন্ম বাংলাদেশের সমসাময়িক এবং আশির দশকেও যারা অর্থনৈতিকভাবে আমাদের কাছাকাছি ছিল বর্তমানে কোন কোন দেশ ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের ছাড়িয়ে গিয়েছে অনেক গুন। বাংলাদেশের বর্তমান উন্নতির ইনডিকেটর গুলোর তুলনা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ থেকে আরেকটু প্রসারিত করে মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কাতার, স্পেন এর সাথে হলে আমরা প্রকৃত বহুমাত্রিক উন্নয়ন গুলোর বৈশ্বিক চিত্র পাবো। বাংলাদেশ,কাতার আর ভিয়েতনামের যাত্রা শুরু হয়েছিল কাছাকাছি সময়ে। কিন্তু বর্তমানে ভিয়েতনাম, কাতার এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। ভিয়েতনাম “ওপেন-ডোর” নীতি থেকে উপকৃত হয়েছে এবং দেশটি গত তিন দশকে একটি বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে উল্লেখযোগ্য বিদেশী ব্যবসা যেমন ইন্টেল, স্যামসাং, অ্যাডিডাস এবং নাইকি এরই মধ্যে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দেশটি এরই মধ্যে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক পণ্য এবং ফুটওয়্যার রফতানিকারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ভিয়েতনামের অর্থনীতির উন্নয়নের পেছনে তিনটি উদ্যোগ ভূমিকা পালন করেছে। প্রথমত, দেশটি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে বাণিজ্য উদারীকরণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এশিয়ান এবং পশ্চিমা উভয় দেশের সঙ্গে অনেক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর বাণিজ্যের ধীরে ধীরে দেশটির উদারীকরণের আভাস দেয়। ভিয়েতনাম ৭২টি দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করেছে এবং ১৬৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। দ্বিতীয়ত, ভিয়েতনাম বাহ্যিক উদারীকরণের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের সমন্বয় করেছে। ২০০৭ সালে ভিয়েতনাম ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১০৪তম স্থানে ছিল। ওই  গবেষণা দেশটির কয়েকটি প্রধান সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করেছিল। সরকার এ সূচকগুলোকে নির্দেশক হিসেবে ব্যবহার করে সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে মনোযোগ দিয়েছে এবং ভিয়েতনাম ২০২০ সালে ডুয়িং বিজনেস জরিপে ৭০তম অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। তৃতীয়ত, ভিয়েতনাম মানবিক ও সামাজিক পুঁজিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ফলে একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে উঠেছে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়েছে। ফলে ভিয়েতনামের শ্রমিক শ্রেণীর মজুরি ও উৎপাদনশীলতা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। স্পেন ও কোরিয়া আপগ্রেডিংয়ের মাধ্যমে উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছেছে। দুটি দেশ ষাট এবং সত্তরের দশকে রাষ্ট্রনির্দেশিত চেষ্টায় শিল্পায়িত হয়েছিল, যা জাহাজ নির্মাণ, ইস্পাত, রাসায়নিক, ইলেকট্রনিকস এবং অটোমোটিভ শিল্পের মতো অন্যান্য শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিল। আপগ্রেড করার জন্য এ শিল্প এবং স্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে গভীর, টেকসই সমন্বয় প্রয়োজন। স্পেন একটি পথ বেছে নিয়েছিল যা এফডিআই, প্রযুক্তিগত আউটসোর্সিং এবং ইউরোপের সঙ্গে একীকরণের ওপর ভিত্তি করে ছিল। এ পদ্ধতিটি ব্যাংকিং এবং টেলিকমিউনিকেশনের  মতো জটিল পরিষেবা খাতে উন্নয়ন করলেও উৎপাদন ক্ষমতায় তীব্র হ্রাস ঘটায়। বিপরীতে কোরিয়া প্রযুক্তিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতার ওপর ভিত্তি করে একটি স্ট্রাটেজি অনুসরণ করেছে. যা উৎপাদন খাতে আপগ্রেডকে সমর্থন করে। কাতার প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্র এবং পরিধির ব্যাপকতা বিস্তৃত করে আধুনিক এবং উন্নত রাষ্টের মর্যাদা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এর ২০২০এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মালেশিয়ার অর্থনীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চতুর্থ বৃহত্তম এবং বিশ্বের ৩৬তম বৃহত্তম অর্থনীতিও বটে। অন্যদিকে চীন তার অতিরিক্ত শ্রমকে আধুনিক উৎপাদনশীলতায় কাজে লাগিয়ে দেশটি আজ পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ । নানা কারণে বাংলাদেশের সম্পদের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যায় না,যার ফলে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও কাজে লাগাতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এর মধ্যে বর্তমানে ব্যাংকিং খাত বড় ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ খাতের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, ঋণ আদায়ের হার হ্রাস ও বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার অর্থনীতিকে মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।


আমাদের অর্থনীতি মূলতঃ (১) কৃষি অর্থনীতি (২) তৈরি পোশাক রপ্তানি (৩) বৈদেশিক রেমিটেন্স এই তিনটি সেক্টরের উপর সর্বাধিক নির্ভরশীল । তিনটি সেক্টরই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ও বটে। কৃষির উৎপাদন ভালো আবহাওয়া, প্রকৃতিক দুর্যোগ, সার কীটনাশক এর সরবরাহের উপর নির্ভর করে । অন্যদিকে তৈরি পোষাক বিদেশীদের ক্রয় ফরমাশ, বৈশ্বিক অর্থনীতির কারনে পণ্যটির রপ্তানী ব্যাহত হতে পারে। আর প্রবসিীদের আয়ের ধারা অব্যাহত থাকে বিদেশে ব্যাপক কাজের সুযোগ এবং ঐসকল দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার উপর। যদি ঐসকল দেশের অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা কমে যায় তাহলে আমাদের প্রবাসী আয় হ্রাস পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ব্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রদানকারী যুক্তরাষ্ট,চীন,কাতার,দুবাই,ইউরোপ,কানাডা এইসকল দেশের মধ্যে শুধুমাত্র গুটিকতক রাষ্টের বাংলাদেশীদের কর্মস্থানের সুযোগ থাকার কারনে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম। আমাদের এই চ্যালেঞ্জ সমূহের বিষয়ে ওয়াকিবহল থেকে শুধুমাত্র একক তৈরি পোষাকের উপর নির্ভর কিংবা প্রবাসী রেমিটেন্স এর উপর ভরসা করে দেশের উন্নতির গতিধারা সম্মুন্নত রাখা সম্ভবপর হবে না। কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প, প্রবাসীদের আয় (রেমিটেন্স) এর পাশাপাশি অন্যান্য বহুমাত্রিক শিল্প ‍কিংবা সেবা এবং আধুনিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার উপর অনেক বেশী জোর দিতে হবে। দেশে ব্যাকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া মানে ডলার সরবরাহ আরও কমে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক থাকায় রিজার্ভও কমে যাচ্ছে। এই সংকট থেকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বেরিয়ে আসতে হলে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে হবে এবং দক্ষ জনবল বিদেশে পাঠাতে হবে এরফলে ডলার সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এসব কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে বিকল্প পথ বা নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমান উন্নয়নের ক্ষেত্র গুলো টেকসই নয়। কারন হলো যে মাত্র তিনটি ক্ষেত্র বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারা কে ঊর্ধ্বমুখী রেখেছে এই তিনটি সেক্টর অনেকগুলো পারিপার্শ্বিকতার উপর ভর করে চালিত হয়। উন্নয়নের গতি ধারা সমূহের বহুমূখীকরণ (বৈচিত্রতা) সম্ভব না হলে যে কোন প্রকার বৈশ্বিক/স্থানীয় সংকটে অর্থনীতি তার গতি হারাতে পারে। বাংলাদেশের দ্রারিদের হার এক কেন্দ্রীক হ্রাসের চেয়ে বহুমাত্রিক দারিদ্র হ্রাসের দিকে নজর দিতে হবে। তবেই দারিদ্র নির্মূল টেকসই হবে। জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) কমিটি এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের নাম সুপারিশ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ২০২৪ সালে সিডিপি আবার মূল্যায়ন করবে। তখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ চাইলে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার অনুমোদনের বিষয়টি আরও পিছিয়ে দিতে পারে। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় রয়েছে তা অর্জনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা গুলো সঠিকভাবে যথাসময়ে অর্জন করতে হবে। রূপকল্প ২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ যথাঃ সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর প্রতিষ্ঠিত । আর এ লক্ষ্য অর্জনের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় চারটি বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ১. জিডিপিসহ মাথাপিছু জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা; ২. উচ্চতর আয়ের সুফল সবর্জনীন করা; ৩. টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং ৪. সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ধারাবাহিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, মূল্যস্ফীতি হৃাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্রের (বহুমাত্রিক) হার কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি লক্ষ্য গুলো ধারাবাহিকভাবে অর্জন এবং টেকসই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে আমাদের স্বপ্নের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপ নেবে। তবে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ আর্থিক কিংবা রাজনৈতিক সমস্যার গুলো অর্থপূর্ণ সমাধান যথাসময়ে করা না গেলে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনার দ্রুত অগ্রগতি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সময় করণীয় সম্পর্কে দ্রুত পরিকল্পনা ও তাৎক্ষণিক করণীয় ঠিক করে এর সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন।




লেখকঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ।


উপ-পরিচালক, বেপজা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ।