জাবিতে সেলিম আল দীনের জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম 'কিত্তনখোলা' মঞ্চায়িত
প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০২২, ০৩:০৩ অপরাহ্ন | সাহিত্য
সেলিম আল দীন নাট্যোৎসব ২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের থিয়েটার ল্যাবে মঞ্চায়িত হয় তাঁর বিখ্যাত জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম 'কিত্তনখোলা'।
তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মে লোকজ ভাবধারাকে অক্ষত রাখতে পরম শান্তির আশ্রয় লাভ করেছেন মধ্যযুগের আখ্যানসমূহের ছায়াতলে। এ প্রসঙ্গে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মন্তব্য স্মর্তব্য: ‘সেলিম অনবরত সন্ধান করে চলেন প্রকাশের এক নতুন মার্গ; নতুন কিন্তু বাংলা ভাষার সৃষ্টি এবং হাজার বছরের ধারাবাহিকতার অন্তর্গত অবশ্যই ।
পাশ্চাত্যের প্রভাববিস্তারী বলয় থেকে বেরিয়ে বাঙালি সমাজের নিজস্ব গল্প এবং জীবনঘনিষ্ঠ উপাদান সংগ্রহ করে নাটক রচনার শুরু হয় সেলিম আল দীনের । এমনই জীবনঘনিষ্ঠ এক নাট্যকর্ম তাঁর ‘কিত্তনখোলা’। পূর্ববর্তী নাটক ‘শকুন্তলা’ থেকে ‘কিত্তনখোলা’য় পদার্পণের মাধ্যমে তিনি এক নতুন নাট্যজগৎ নির্মাণ করেন। ‘কিত্তনখোলা’ রচনার মধ্য দিয়ে সেলিম আল দীন বাংলা-নাট্যশিল্পকে নতুন রূপ দান করেন। মূলত, এ নাটকের মাধ্যমেই পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহারপূর্বক প্রাচ্যীয় রীতির প্রবর্তন শুরু হয়। ‘কিত্তনখোলা’ হয়ে ওঠেছে বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবনে স্থিত সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্ত।
কিত্তনখোলা নাটকের প্রায় সবগুলো চরিত্রের মধ্যেই যে নৃ-তাত্ত্বিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও আর্থিক জীবন-চিত্র ফুটে উঠেছে- তা অন্যার্থে গ্রাম-বাংলা প্রান্তিক জনজীবনের চিত্রই বটে। অন্যভাবে বলা যায়, সেলিম আল দীন-এর এ নাটকে রয়েছে যেন নিম্নবিত্তের অসংখ্য মানুষের মিছিল।
ঐতিহ্য ও গৌরবময় অতীতের সঙ্গে সমকালের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জীবনধারার মিশেল সেলিম আল দীনের নাট্যধারাকে করেছে ঋদ্ধ থেকে ঋদ্ধতর।