শারদীয় দূর্গাপূজায় সরকার ও আমাদের করণীয়

 প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন   |   মতামত

শারদীয় দূর্গাপূজায় সরকার ও আমাদের করণীয়


বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আসছে আক্টোবর মাসের ৯ হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পালিত হবে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। ষষ্ঠী থেকে মূলত দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত এই পাঁচ দিনে মহাসমারোহে দূর্গাপূজা সর্বোচ্চ আচার-আনুষ্ঠানিকতায় উদ্যাপন করা হবে। ১৩ আক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দূর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।  

এ বছরও ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট, দিনাজপুরসহ সকল জেলার মন্দির, খেলার মাঠসহ শহর ও গ্রামের বিভিন্ন খোলা জায়গায় হাজার হাজার পূজামন্ডবে দূর্গাপূজা উদ্যাপন করা হবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী এ উৎসব শুধামাত্র হিন্দুদের জন্য হলেও সকল ধর্মের লোক পূজামন্ডবে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করে এবং হিন্দু ভাইদের বানানো বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহন করে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দূর্গাপূজা উৎসব পালনের জন্য গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২৩ সালে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ২ কোটি টাকা। আর এ বছর যাতে হিন্দু ধর্মালম্বীরা ভালভাবে পূজা উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ৪ কোটি টাকা।

দেশের যে কোন স্থানে শারদীয় দূর্গাপূজার মন্ডব তৈরীতে কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। তবে মসজিদের আশে পাশে যেন পূজা মন্ডব তৈরী করা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ দেশ সবার। হিন্দু ভাইদেরও অধিকার আছে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করার। এ জন্য সকলকে সহযোগিতা করা দরকার। পূজার সময় বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করা হয়। এক শ্রেণীর লোক পূজা মন্ডবে হামলা চালিয়ে অন্যের উপর দোষ চাপায়। এবার কাউকে পূজা মন্ডবে হামলা করতে দেয়া যাবে না। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। শুধুমাত্র পুলিশের আইজিপি বা পুলিশের উপর নির্ভর করলে চলবে না। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা বাহিনীকে আইন শৃংখলা রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিগত সরকারের দোসর ও ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এরা পূজা মন্ডবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে। ধর্মীয় উসকানি/দাঙ্গা ছড়াতে পারে। এজন্য  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তাদের ছাত্র সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। শহরে, গ্রামে, পাড়ায় ও মহল্লায় কমিটি গঠন করে পর্যায়ক্রমে টহল ও পাহারা দিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।          

লেখক  মো: মাহবুবুর রহমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

মতামত এর আরও খবর: