লালমাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা!

 প্রকাশ: ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

লালমাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা!


কামাল হোসেন (লালমাই প্রতিনিধি):


কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসব পদুয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ১৮ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০ টায় শিরিন আক্তার (৩০)  নামে গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ির নিজ রান্না ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার সকালে রান্না ঘরের সিলিংয়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শিরিন আক্তার আত্মহত্যা করে। নিহতের ছোট শিশু সন্তান ইউসুফের কান্নার আওয়াজ শুনে শাশুড়ি ফিরোজা বেগম এসে দরজা বাড়ি দিতে থাকে এতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তার অন্য পুত্রবধূকে ঝর্ণাকে ডাকে, পরে নিহতের স্বামী প্রবাসে থাকা শহীদুল্লাহকে জানালে সে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ডুকতে বললে তারা ভিতরে গিয়ে দেখে শিরিন ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। 


নিহতের শাশুড়ি ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে  শহীদুল্লাহের প্রথম স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা যায়, এটা তার ২য় বিয়ে, গত কয়েকদিন ধরে বৌ বলছে সে অসুস্থ বমি হয়। ৪ দিন আগে আমাকে বললো সে বাপের বাড়ি যাবে, ছেলেও মোবাইল করে বৌয়ের অসুস্থতার কথা বলার পর বাপের বাড়ি যায়। গত পরশু বাপের বাড়ি থেকে আমার বেয়াইন সহ আসে, গতকাল বেয়াইন চলে যায়। আজ সকালে আমার ছেলের বৌ শিরিন সকালে নাতনি সায়মা আক্তার( ৫) নিয়ে আমাদের বাড়ির পাশে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। আমি অসুস্থ থাকায় ঔষধ খেয়ে শুয়ে ছিলাম, ছোট নাতি ইউসুফের কান্নার আওয়াজ শুনে উঠে গিয়ে বৌকে ডাকি। কোন সাড়া না পেয়ে ছেলেকে জানাই। পরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে দেখি সে ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আছে। 

মামলার বাদী নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বোনের ২০১৭ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ীর সাথে বনিবনা হয়না বিধায় স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের বাড়ি একই উপজেলার যাদবপুরে দীর্ঘদিন ছিলো। গ্রাম্য শালিসির মাধ্যমে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ি আসে, তখন বলেছে সে অসুস্থ, আমি ঔষধ কিনে দিয়েছি। আমার মা সহ ওই বাড়িতে যায়। মা চলে আসার পর এই ঘটনা। আমার কাছে মনে হয় এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহীদুল ইসলাম  জানান, এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। 

জেলার খবর এর আরও খবর: