রাজাপুরের শতবর্ষী গালুয়া কওমী মাদ্রাসা ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন | সারাদেশ
মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি) :
কুরআন-হাদীসের সহীহ আকিদায় শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে ইসলামের আলো ছড়াচ্ছে রাজাপুরের গালুয়া এমদাদুল উলুম আশ্রাফিয়া কওমী মাদ্রাসা। পীরে কামেল হযরত মাওলানা মাহতাব উদ্দিন খান রহ. ১০৬ বছর পূর্বে ১৯১৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ইন্তেকালের পরে গালুয়ার পীর সাহেব আল্লামা আব্দুল হক খান (রহ,) ১৯৬৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মুহতামিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বরে তার ইন্তেকালের পরে এই মাদ্রাসাটি সুদক্ষ পরিচালনার অভাবে ধিরে ধিরে দুর্বল হতে থাকে সেই সাথে ছাত্র সংখ্যাও কমতে থাকে। ২০২১ সালে এলাকাবাসি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার নাতি ও গালুয়া পীর সাহেব হুজুর (রহ) এর ছেলে আব্দুল গফফার খানকে সভাপতি ও নির্বাহী মুহাতামিম এবং মাদ্রাসার ছদরে মুহাতামিম মাওলানা নুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ গোলাম কবিরকে অর্থ সচিব করে কমিটি করা হয়। পরবর্তিতে মাওলানা নুরুল ইসলাম অসুস্থতার কারনে তার সেক্রেটারী পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। মাদ্রাসার সাবেক সেক্রটারী মরহুম মীর সুলতান’র ছেলে মীর জিয়াউদ্দিন মিজানকে সেক্রেটারী হিসাবে নাম প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহিত এবং অনুমোদিত হয়। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি করা হয়। এছাড়া দানশীল ব্যক্তি ও উলামায়ে কেরামদের নিয়ে ১৫ সদস্যের একটি মজলিসে শূরা করা হয়। এলাকাবাসি ও সুভাকাঙ্খীদের নিয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাধারন কমিটি করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মীর জিয়াউদ্দিন মিজান দায়িত্ব পাওয়ার পরে সার্বক্ষনিক তদরকি করছেন এবং দ্রুত গতিতে মাদ্রাসা সার্বিক ভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। মাদ্রাসায় ৪টি বিভাগ রয়েছে।
মাদ্রাসার অধ্যনয়নরত ছাত্ররা জানায়, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছি। এখানকার পড়াশুনার মান অন্যান্য মাদ্রাসার তুলনায় অনেক ভাল। তারা আরো বলে, আমাদের খাওয়া দাওয়া ও বই পুস্তক সব মাদ্রাসা থেকেই বহন করা হয়।
মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস ছত্তার শাহ সাহেব হুজুর জানান, বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে আবাসিকে ও অনাবাসিকে ছাত্ররা পড়াশুনা করছেন। মাদ্রাসায় কোন সরকারী অনুদান নেই। ইসলামী শিক্ষানুরাগীদের দান-অনুদানে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছে।