মাদারীপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

 প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারী ২০২০, ১১:৫২ অপরাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার

মাদারীপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন


মাদারীপুরে সময় টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎসহ চার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মৈত্রী মিডিয়া সেন্টার (সাংবাদিক সংগঠন) এর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মৈত্রী মিডিয়া সেন্টার কমিটি ও জেলার পাশাপাশি মাদারীপুরের ৪টি উপজেলা থেকেও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেয়।

এ সময় বক্তরা বলেন, ‘ঠিকাদারের কাজের ধীরগতিতে চালু করা যাচ্ছে না মাদারীপুর সদরের আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল। এই সংবাদটি জনসাধারনের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এজন্য উল্টো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। সেটা না হয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংবাদের কারনে মানহানীর মামলা দেয়, যা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ সময় বক্তারা দ্রুত এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিডউল অনুযারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএসইসিএলকে এস কে জেবি’র কাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়। পরে দুইবার মেয়াদ বাড়ানো হলে সেই সময় শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৯ জুন। এরপর তড়িঘড়ি করে ১৭ নভেম্বর ঠিকাদারের কাছ থেকে হাসপাতালটি বুঝে নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তান্তর করে। গত ২৫ নভেম্বর ঠিকাদারের কাজের ধীরগতিতে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না মাদারীপুর সদরের আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল, এ নিয়ে সংবাদ প্রচার করে সময় টেলিভিশন। এরই প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার পক্ষে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করে শহিদুল ইসলাম খান। এতে বিবাদী করা হয় সময় টিভির বার্তা প্রধান তুুষার আব্দুল্লাহ, প্রধান বার্তা সম্পাদক দানিশ মুজতবা, সংবাদের প্রতিবেদক সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ, চিত্র প্রতিবেদক শাহাদাৎ আকনকে। গণপূর্ত বিভাগের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ ফিরোজ বলেন, আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৯ জুন। পরে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর হাসপাতালটি বুঝিয়ে দেয়া হয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এজন্য কমিটিও করা হয়।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, আমরা হাসপাতালটি বুঝে নিয়েছি। কিন্তু জনবল সংকটে আজও চালু করতে পারছিনা। এজন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালটি কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে গণপূর্ত বিভাগতে চিঠি দেয়া হয়েছে। হাসপাতালটি কেন দেরিতে হস্তান্তর করা হলো এ ব্যাপারেও তদন্ত চলছে।

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: