বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার অঙ্গীকার একে আজাদের

 প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার অঙ্গীকার একে আজাদের



সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর তিন আসনের বারোটি ইউনিয়নে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন চান বলে জানিয়েছেন এ আসনের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ। একই সঙ্গে সন্ত্রাসমুক্ত ফরিদপুর জেলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।



মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তার নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এ কে আজাদ।


তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত এক হাজার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ফরিদপুরকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে প্রয়োজনের প্রধানমন্ত্রী সহায়তা কামনা করা হবে। ফরিদপুরে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলবে না, কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকবে না।


এ কে আজাদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘তার অনুসারীরা একের পর এক সহিংসতা করে নির্বাচনী এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। শুধুমাত্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ও ফরিদপুরবাসীর স্বার্থে আমরা সকলকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করেছি।’


তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমার ভাই। আমি এখনো তাকে অনুরোধ করছি সকল ভেদাভেদ ভুলে আসুন আমরা এক সাথে ফরিদপুর উন্নয়নে কাজ করি।’


শামীম হকের বিরুদ্ধে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ করে এ কে আজাদ বলেন, ‘তিনি যেই অপরাধ করেছেন তাতে তিনি গ্রেফতার হওয়ার মতো অপরাধ করেছেন। তারপরেও আমরা তাকে গ্রেফতারের অভিযোগ করিনি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখন তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে নানাধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’


লিখিত বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রচারণা শুরুর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ঈগলের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ভোলা মাস্টারের ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়। নির্বাচনের দিনও সকাল থেকে বেশ কিছু এলাকায় ঈগলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় শামীম হকের অনুসারীরা। রনকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলায় ১৮ জন আহত হয়েছে। হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। তাদের পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।’


এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘হামলা, মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ আমাকে সাহস ও সমর্থন দিয়ে গেছেন। হামলা-মামলার শিকার হয়েও কোনো প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ নয়, ব্যালটের মাধ্যমে মানুষ জবাব দিয়েছে।


তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী এমন একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ফরিদপুরে ৫২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। বাধা-হামলা উপেক্ষা করে তারা কেন্দ্র গিয়েছেন। কিছু কেন্দ্রে শামীম হকের সমর্থকেরা পেশীশক্তি প্রদর্শন করেছেন। মাচ্চরের খলিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের দিন সাড়ে ৩টার দিকে শামীম হক ও তার ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী প্রবেশ করেন। এর পরপরই ছয়টি বুথে ঢুকে তারা ব্যালট ছিনতাই করেন। প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারেরা এর সাক্ষী ছিলেন। এমন দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া ফরিদপুরে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছেন জনগণ।’


সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন এ কে আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট বিপুল ঘোষ, সাংবাদিক প্রবীর শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রাসুল তানিয়া ও এ কে আজাদের একজন পোলিং এজেন্ট মাজবিন ডালিয়া।এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম নীরু, মাহবুব হোসেন, বদিউজ্জামাল বাবুল, বেলায়েত হোসেন ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



ভিন্ন খবর এর আরও খবর: