ডায়াবেটিস নির্মূল করাই হার্বস বিশেষজ্ঞ মোরশেদ চৌধুরীর মূল উদ্দেশ্য
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন | সফলতার গল্প

ডায়াবেটিস নির্মূলে নয়া দিগন্ত
এক সময় ডায়াবেটিস বড় লোকের রোগ এবং রোগটি শহরের মানুষের মধ্যেই বেশি হয় এমন কথা লোক মুখে শোনা গেলেও সময়ের পরিক্রমায় ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যার ব্যবধান শহর-গ্রাম ও ধনী-দরিদ্রের মাঝে কমে এসেছে। শহরের মতো গ্রামের মানুষও এখন আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এক সময় গ্রামের মানুষ নিজের জমিতে চাষ করা চাল, ডাল, পুকুর, খাল-বিলের মাছ, বাড়ির আঙিনায় কিম্বা জমিতে চাষ করা তাজা শাকসব্জি খাওয়াতে অভ্যস্ত থাকলেও আধুনিকায়নের ফলে তারাও এখন ফাস্ট ফুড কালচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক সময় চা খেতেও গ্রামের ছোট্ট কাঁচা রাস্তা দিয়ে দু'মাইল পায়ে হেঁটে দূরের বাজারে গেলেও এখন শহরের মতো পাকা রাস্তা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল বা গাড়িতে যাতায়াত করেন। আধুনিকায়নের আশীর্বাদ এখন অভিশাপ হয়ে দেখা দিচ্ছে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও কায়িক পরিশ্রম হ্রাস পাওয়াসহ নানা কারণে শহর ও গ্রামে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যার ব্যবধান অনেক কমে এসেছে। দেশে জাতীয়ভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের কোনো পরিসংখ্যান নেই। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ছোটখাট গবেষণা জরিপ ও অনুমিত পরিসংখ্যান অনুসারে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলা হতো।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ৪ জন মানুষের মধ্যে ১ জন (অর্থাৎ ২৫ শতাংশ) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দেশের মোট জনসংখ্যার হিসেবে দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪ কোটিরও বেশি। গবেষণা সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত চট্টগ্রামে ও সর্বনিম্ন সিলেটে। যে ১ লাখ মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ৭০ জন এ রোগটি সম্পর্কে জানেন। কিন্তু খুব ভালোভাবে জানেন মাত্র ৩৯ শতাংশ মানুষ। যাদের ওজন বেশি ও কায়িক পরিশ্রম কম করেন এবং যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস রোগি রয়েছে তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার বেশি।
যে কারণে হতে পারেঃ প্রতিটি রোগের পেছনে কতগুলো কারণ থাকে। ডায়াবেটিসও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই জেনে নিন কারণগুলো। ১. জেনেটিক বা বংশগত কারণে ইনসুলিন তৈরি কম হলে। ২. জেনেটিক বা বংশগত কারণে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে। ৩. নানা ধরনের সংক্রামক ব্যধির কারণে হতে পারে। ৪. অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগের কারণেও হয়। ৫. ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে এলে এ রোগ হতে পারে। ৬. অন্যান্য হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ৭. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও হয়।
লক্ষণসমূহঃ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে সহজেই চিহ্নিত করা যায় ডায়াবেটিস। যত আগে ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যায়, ততই ভালো। কারণ তখনই নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ১. ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া। ২. পানি পিপাসা বেশি বেশি লাগবে। ৩. শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হবে। ৪. বেশি বেশি ক্ষুধা পাবে। ৫. স্বাভাবিকভাবে খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকবে। ৬. যেকোনো ধরনের ক্ষত শুকাতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দেরী হবে। ৭. নানা রকম চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। ৮. চোখে কম দেখা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস নির্মূলে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও আজও তেমন কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে হারবাল চিকিৎসা। বললেন হার্বস গবেষক মোরশেদ চৌধুরী। তিনি হার্বস নিয়ে গবেষণা করছেন দীর্ঘদিন। তিনি ডায়াবেটিস নির্মূলে বেশ আশাবাদী এবং রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান এই ডায়াবেটিস রোগকে। ইদানিংকালে তিনি বেশ কয়েকজনকে সুস্থ্য করে তুলেছেন। ফিরিয়ে এনেছেন স্বাভাবিক জীবনে। এমনই একজনের সাথে ফোনে কথা বললে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত এই রোগে ভুগছিলেন। বছর খানেক আগে তিনি ইউটিউবে নিউজভিশন লাইভ নামের একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলে মোরশেদ চৌধুরীর ইন্টারভিউ (https://www.youtube.com/watch?v=yNJ0H085yYQ ) দেখে যোগাযোগ করেন। শুরু করেন মোরশেদ চৌধুরীর পরামর্শ নিতে। আজ তিনি দিব্যি সুস্থ। ডায়াবেটিসের রোগীদের বারডেম থেকে যে বই দেয়া হয় সে বইটি থেকে নামও কেটে দিয়েছে খোদ বারডেম। বলে দিয়েছে ডায়াবেটিস নেই। তিনি পুরোপুরি ডায়াবেটিস মুক্ত। এরকম আরও অনেকেই ডায়াবেটি রোগী মোরশেদ চৌধুরীর শরনাপন্ন হচ্ছেন এবং ওষুধ খাছেন।
ডায়াবেটিস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। আসুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট হই।
মোরশেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের প্রয়োজনে ০১৭৪৮৪৯৩১৪৫ নম্বরটিতে কল করতে পারেন।
মোরশেদ চৌধুরীর ইন্টারভিউ দেখতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন
https://www.youtube.com/watch?v=jZckEFDnkKU
https://www.youtube.com/watch?v=yw36VbwIU0E
https://www.youtube.com/watch?v=6JJrqIH_lIM
https://www.youtube.com/watch?v=yNJ0H085yYQ