চর কাজলে ৪০দিনের কর্মসূচিতে নানা দূর্নীতি, ভিটে বাড়ির মাটি না দেওয়ায় খুনের হুমকি!
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন | আইন-আদালত-অপরাধ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কাজল ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির প্রকল্পে হত দরিদ্রের দিয়ে কাজ করানোর নিয়ম থাকলেও হতদরিদ্রের নাম তালিকায় দিয়ে মূলত কাজ করানো হচ্ছে ভেকু মেশিন দিয়ে। অভিযোগ আছে, এতে প্রকল্পের বরাদ্দের বড় একটি অংশের ভাগ দিতে হয় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরকে।
গতকাল ২২জানুয়ারী বেলা ১১টার সময় চর কাজল ইউনিয়নের ৩নাম্বার ওয়ার্ডে হাজী আলতু হাওলাদার বাড়ি রোডের দেখা যায়, ৪০দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ ভেকু মেশিন দিয়ে করানো হচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন জনের বাড়ি এবং ভরাট করা মাটি জোর জবরদস্তি করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার মনির দফাদারের বিরুদ্ধে।
রাজ্জাক মিয়ার বাড়ির ভরাট করা জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন রাজ্জাক মিয়ার ছেলে রাকিব। তিনি বলেন, ভেকু নিয়ে মাটি কাটতে আসলে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট একটা জমি দেখিয়ে সেখান থেকে মাটি কাটতে বলি। তুলনা মূলক দূরে হওয়ায় তারা সেখান থেকে মাটি না কেটে সরকারী কাজের দোহাই দিয়ে আমাদের বাড়ির ভরাট করা মাটি কেটে নেয়। এমন কি বাড়ি তো দূরের কথা ঘরের মাটি লাগলেও দিতে হবে এমনটা বলেন মনির মেম্বারের ছোট ভাই সাঈদ দফাদার।
এ নিয়ে জমি মালিক এবং সাঈদ দফাদারের কথা কাটাকাটি হলে, বার বার সাঈদ দফাদার জমির মালিক পক্ষকে মারার জন্য যায় এবং বলে মাথায় বারি দে, মার্ডার করে ফেল, সরকারী কাজ! কিছুই হবেনা।
(উক্ত ঘটনার ভয়েস এবং ভিডিও রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে)। আগেও মনির মেম্বার, সবুজ জোমাদ্দার মেম্বার ৪০দিনের কর্মসূচি ২দিনে ভেকু দিয়ে করিয়ে তাদের বিভিন্ন স্বজন এবং প্রতিবেশীর নাম ফোন নাম্বার ব্যবহার করে টাকা তুলে নিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এম.এম. আসাদুজ্জামান আরিফ (উপ সহকারী প্রকৌশলী) বলেন, তাৎক্ষনিক কাজ বন্ধ করো ভেকুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওনাদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগেরবার তাদের প্রকল্পের পূর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। আর বাড়ির ওপর থেকে মাটি নেওয়ার বিষয়টি অন্যায় হয়েছে। অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, প্রথমত সে ভেকু দিয়ে মাটি কাটাচ্ছে এটা তার প্রথম অপরাধ। দ্বিতীয় অপরাধ সে অন্যদের নাম দিয়ে সিমে টাকা তুলে নিচ্ছে। আমি এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো এবং ঐ মেম্বারকে শনি বারেই আমি ডেকে আনবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।