কক্সবাজারে আবারো গুলি করে গরু লুট
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন | জেলার খবর

কক্সবাজারের গুলি করে গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ মার্চ) রাত একটার দিকে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া উত্তর পাড়ার কৃষক নুরুল আলমের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।ডাকাতির শিকার নুরুল আলম উক্ত এলাকার শরাফত আলীর ছেলে।ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল আলম জানান, গভীর রাতে সশস্ত্র ডাকাত দল তার বাড়ির আঙিনার গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে গরুগুলো গাড়িতে তুলতে শুরু করে। ঘরের ভেতর থেকে বুঝতে পেরে ছেলে জয়নাল আবেদীন বের হলে তাকে মারধর করে লুটকারীরা। ভীতি ছড়াতে ১০-১৫ মিনিট টানা গুলি বর্ষণ করে দুটি গরু নিয়ে ডাকাতরা মহাসড়কের দিকে চলে যায়। এসময় ডাকাত দলের কাছে মোটরসাইকেলও ছিল। লুটকৃত গরুর আনুমানিক মূল্য আড়াই লক্ষাধিক টাকা।কৃষক নুরুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা থেকে আমাদের এলাকায় পৌঁছাতে ১০-১৫ মিনিট লাগে। বাড়িতে ডাকাত পড়ার খবর দেওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ পৌঁছায়। পরে জেলা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, গুলি করে গোয়ালঘর থেকে গরু লুটের খবর পেয়েই পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা জানান, এলাকার চিহ্নিত কিছু অপরাধীর ছত্রছায়ায় ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মিয়ানমারের চোরাই গরু পাচার হয়। এ চক্রটিই নুরুল আলমে পালিত গরুগুলো ডাকাতি করে থাকতে পারে।গত ৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের চড়াপাড়া এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে তিনটি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বড় ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা মো. জাহেদুল কবির বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত।এ ঘটনার কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজার জেলা তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের গরুচোর সিন্ডিকেটের প্রধান নবী হোসেন ওরফে নইব্যা চোরাকে গ্রেফতার করেছিলেন জাহেদুল কবির। এর দিন তিনেক পর তার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে গরু লুটের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।