ওসমানীনগর'র তরুণ জাহেদ আল-হাসান পেলেন ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন | সফলতার গল্প
ওসমানীনগর (সিলেট): সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা তরুন যুবক জাহেদ আল-হাসান ১ম বারের মত পেলেন, ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড। জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেলেন ওসমানীনগরের কেউ।জানা যায় তিনি গোয়ালাবাজার এর মরহুম আলহাজ্ব মাও মো আব্দুল জলিল (রহ:) ছেলে জাহেদ আল হাসান। দেশের প্রযুক্তি খাতের অন্যতম সম্মানজনক ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড তার এই অর্জন ওসমানীনগরের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এই প্রথমবার কেউ জাতীয়ভাবে সেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন। তিনি আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকার কেডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা।
বিখ্যাত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন: রাফায়াত রাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং ফাইভারের টপ রেটেড সেলার। ফারজুক আহমেদ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষক। মিনহাজুল আসিফ কোডম্যানবিডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। মাহাদির ইসলাম ড্রিমস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তাসনিমুল হাসান প্রান্ত আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। আলতামিস নাবিল প্রখ্যাত উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার। এছাড়াও আরও অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাহেদ শুধু একজন ফ্রিল্যান্সারই নন; তিনি একজন দক্ষ উদ্যোক্তা, সমাজসেবক এবং স্কাউটার। তিনি ইমেন্স হাট নামে একটি আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছে।২০২২ থেকে ২০২৪ সালের বন্যার সময় তিনি ১,০০০+ বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও গত ২০ নভেম্বর তিনি ওসমানীনগর উদ্যোক্তা মেলা-২০২৪ সফলভাবে সম্পুর্ণ করেন। এই মেলায় ১০,০০০+ দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং একদিনেই ৬ লক্ষাধিক টাকার পণ্য বিক্রি হয়।
জাহেদ আল-হাসান হলেন ওসমানীনগরের প্রথম ব্যক্তি যিনি জাতীয় পর্যায়ে সেরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি দিকনির্দেশনা তৈরি হয়েছে।
তার অসামান্য কাজের জন্য স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মানিক মিয়া তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। জাহেদ বলেন, এই পুরস্কার শুধু আমার নয়, এটি পুরো ওসমানীনগরবাসীর। আমার পরিবার, টিম এবং সিলেটের জনগণের সমর্থন আমাকে এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। জাহেদের এই সাফল্য সিলেট এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই এক বিশাল গর্বের বিষয়।