গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানেনা : মজিবুর রহমান মঞ্জু
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন | রাজনীতি

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন; গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গী তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো, বিপন্ন হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতারা সহ আমাদের অনেকের জীবন। গণহত্যা চালানো আওয়ামী পুলিশ ও ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা পেতো ‘বীরের খেতাব’। গণঅভ্যুত্থান কখনও একক কারও চিন্তা বা অবদানে সফল হয়না। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আজ গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে “গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরনের পথ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি। ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জেএসডির তানিয়া রব সহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল গণতন্ত্র মঞ্চ ও এবি পার্টির যৌথ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আবেগরূদ্ধ কণ্ঠে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া প্রতিটি মানুষের স্মৃতি ও গল্প আছে। কিন্তু আমরা ঘুরে ফিরে অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ও গল্পই কেবল শুনছি। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ৯৮ ভাগ মানুষের কথা আমরা অনেকে শুনতে পারিনি। এবি পার্টির পক্ষ থেকে একটি জন-গণ-শুনানীর দাবি জানানো হয়েছিল যার মাধ্যমে সবাই নিজ নিজ স্মৃতি ও নির্যাতন ভোগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবে, কিন্তু সরকার সেরকম কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন শহীদ আবু সাঈদের বাড়ির সামনে আজ নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে, আমরা সবাই শ্রদ্ধাভরে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করছি কিন্তু গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গী তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো, বিপন্ন হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতারা সহ আমাদের অনেকের জীবন। অভ্যুত্থানের আগে চরম নির্যাতনে যারা ধৈর্য্য, ঐক্য ও ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা আজ সব পেয়ে দিশাহারা হয়ে গেছেন। এই বেশী পাওয়ার অপব্যবহার করলে তার প্রতিফলও একদিন ভোগ করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।