পাস ২০১৭ সালে, লাইব্রেরিয়ানের চাকরিতে যোগদান ২০১৩ সালে !

 প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ অপরাহ্ন   |   আইন-আদালত-অপরাধ

পাস ২০১৭ সালে,  লাইব্রেরিয়ানের চাকরিতে যোগদান  ২০১৩ সালে  !


গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাঘু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল সনদে চাকরিরত সহকারী গ্রন্থাগারিক শিক্ষিকা মুক্তা খানম এমপিওভুক্তির পর দীর্ঘ কয়েক বছর অবৈধপন্থায় সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে লাইব্রেরি সাইন্স পাস করেছেন মাদারীপুর এর কোন এক ইন্সটিটিউট থেকে  অথচ তিনি গত ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যোগদান করেন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই শিক্ষিকা এখনো স্বপদে রয়েছেন বহাল-তবিয়তে।  

নাম না প্রকাশ শর্তে স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা দাবি করেন, বিগত দিন মুক্তা খানম প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার স্ত্রী হবার সুবাদে নিয়োগ পায়। সহকারী গ্রন্থাগারিক মুক্তা খানম নিজেকে শিক্ষিকা পরিচয় দেয়। প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হবার কারণে সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে বিরুপ আচরণ করে মুক্তা খানম।


কৃষ্ণাদিয়া বাঘু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির (এডহক) সভাপতি মুকসুদপুর উপজেলার ইউ এন ও ইমাম রাজী টুলু জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। তদন্ত চলমান, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিক শিক্ষিকা মুক্তা খানম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ২০১৩ সাল থেকে বেতন নেন নি বলে দাবী করেন কিন্তু কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। ২০১৭ সালে লাইব্রেরি সাইন্স পাস করেছেন মাদারীপুর এর কোন এক ইন্সটিটিউট থেকে বলে প্রতিবেদককে জানান।


এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার সাদিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আইন-আদালত-অপরাধ এর আরও খবর: