চেয়ারম্যান মেম্বারদের কর্তব্য এবং জনসচেতনতা
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০২:০০ অপরাহ্ন | মতামত

সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল ):
একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সংসার তা'র সদস্যগন,চৌকিদারগন এবং সচিব, ইউডিসি সদস্যদের নিয়ে।একা চেয়ারম্যান এর পক্ষে সবকিছু সঠিকভাবে পালন করা কখনই সম্ভব না।তাকে মেম্বারদের সাথে সু-সমন্বয় করে কাজ সমাপ্ত করতে হয়।প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন মেম্বার আবার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আছে কি'জন্য? আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মেম্বারদের নিয়ে চলতে পছন্দ করি এবং তা' করিও।তবে কিছুটা নিজের জন্য রাখি যেখানে যেখানে গ্যাপ সৃষ্টি হয় সেখানটায় সামাল দেওয়ার জন্য। এখন চেয়ারম্যান/মেম্বার যদি নিরপেক্ষ না হন তাহলে জনভোগান্তি বাড়ে।আবার আমাদের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমরা অযথা যাচাই বাছাই না করেই বায়বীয়ভাবে সমালোচনা করি।আগে জানতে হবে কতটুকু সাহায্য এলো, কিভাবে তা বণ্টিত হলো।এসবের খোঁজ খবর নেওয়া।পরিষদে এলেও আমি সবাইকে সঠিক তথ্য দিতে পারি।আমি বিশ্বাস করতে চাই আমার কোন মেম্বার সরকারি কোন সাহায্য তছরুপ করেন না।তবে হ্যা আমি ব্যাক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি কোথাও কোথাও পক্ষ বিপক্ষ কাজ করেছে। অর্থাৎ নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়েছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।মনে রাখতে হবে আমি বিপক্ষেরও মেম্বার বা চেয়ারম্যান। আমরা নিরপেক্ষতার শপথ নিয়েছিলাম। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মাজারেও শপথ করে এসেছিলাম নিরপেক্ষ থাকার। তবে এখানে একটা কথা না বললেই নয় তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আপনি যেকোন তথ্য পরিষদে চাইতে পারেন।আমরা তা দিতে বাধ্য। একটা ব্যাপার লক্ষনীয়, স্থানীয় যারা মেম্বারদের প্রতিপক্ষ বা ভোটের সময় বিরোধী ছিল তারা সবসময় নেগেটিভ মাইন্ডে থাকে।এটা না করে যদি মেম্বারদের কাছে সরাসরি যায়, তাদের দাবী জানায়, পরিষদে এসে খোঁজ নিয়ে যায় কতটুকু সাহায্য এলো তার ন্যায্য হিস্যা চেয়ারম্যান দিয়েছেন কিনা, আবার প্রাপ্ত সাহায্য সুষম বণ্টন হলো কিনা তাহলে সবকিছুই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়।মনে রাখতে হবে ১০০% পারফেক্ট বলতে কিছু নাই।আমরা যদি ৮০/৯০ ভাগও সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে পারি সেটাই একটা বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি।সুতরাং স্থানীয় জনসাধারণেরও একটা বড় ভুমিকা আছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। আমার কাছে অনেকে আসে ভোটার আইডি'র ফটোকপি দিতে আমি তাদের বলি মেম্বার সাহেবের কাছে দিন কিন্তু তারা তৎক্ষনাৎ উত্তর দেয় ওর কাছে দেবোনা।আপনি আমাদের চেয়ারম্যান আপনি নিন।তো এখান থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে চেয়ারম্যান/মেম্বার কোন স্থায়ী পদ নয়।পাঁচ বৎসরের একটা দ্বায়িত্ব।
আমি বিবেকের কাছে সৎ থেকে কাজ করার চেষ্টা করছি। তা'তে কারো কারো বিরাগভাজনও হয়েছি। কি এসে যায় তাতে?
কিন্তু আপনি?
----সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল ), চেয়ারম্যান গোবরা ইউনিয়ন, গোপালগঞ্জ সদর