ফারুক খান : সেনা কর্মকর্তা থেকে বর্ষীয়ান জননেতা
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:০৩ অপরাহ্ন | মতামত

মুহাম্মদ ফারুক খান" সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন সময়ে মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর মানুষের দূর্দিনে পাশে থেকেছেন। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় ঢাকা থেকে স্বপরিবারে শুকনো খাবার, জরুরী ঔষধ, খাবার স্যালাইন, কেরোসিন তেল এবং ৭ জন ডাক্তারের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তার পৈতৃক নিবাস বেজড়া গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করেন। গরীব অসহায় মানুষের পাশে সেবার দুত হিসেবে অবির্ভুত হন। পরবর্তিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকেদের মাঝে ভ্যানগাড়ি, সেলাই মেশিন বিতরন করে পুনর্বাসন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান। ১৯৯১ এর নির্বাচনে জয়লাভ করে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় অাসেন। ১৯৯২ সালে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার ছোট ভাই সাইদ এস্কেন্দার মুহাম্মদ ফারুক খানকে প্রস্তাব দেন বেগম খালেদার জিয়ার সাথে একবার দেখা করার। দেখা করলেই পদোন্নতির আশ্বাস দেন সাইদ এস্কেন্দার। মুহাম্মদ ফারুক খান বেগম জিয়ার কাছে মাথা নত করেননি দেখা ও করেননি।
১৯৯৪ সালে অাবারো সাইদ এস্কেন্দার প্রলোভন দেন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলেই মিলবে পদোন্নতি। স্পষ্টভাষী মুহাম্মদ ফারুক খান স্পষ্ট ভাবে জানান "অামি বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের ছেলে, প্রয়োজনে চাকরি ইস্তফা দিব তবুও নিজের অাদর্শকে বিক্রি করে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে মাথা নত করে পদোন্নতি নেবনা।"
ফলে মুহাম্মদ ফারুক খানের অার পদোন্নতি হয়নি। সেদিন বেগম জিয়ার কাছে মাথা নত করলে হয়তো পদোন্নতি পেয়ে একসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হতেনও হতে পারতেন। তিনি সেটা করেন নি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মুহাম্মদ ফারুক খান ১৯৯৬ তে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন এবং ঐ বছরই জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বুকের মধ্যে লালিত বঙ্গবন্ধুর অাদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বিশ্ব নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে গোপালগঞ্জ-১ অাসন ( মুকসুদপুর -কাশিয়ানী) থেকে নৌকার মাঝি হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রেকর্ডসংখক ভোটে জয়লাভ করেন। পরপর ৫ম বারগোপালগঞ্জ-১ অাসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং এলাকার মানুষের সুঃখ দুঃখের সাথী হয়ে পরম শ্রদ্ধায় অাজও সাধারন জনগনের মনের মনিকোঠায় স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে একের পর এক রাস্তা, ব্রিজ,কালভার্ট,স্কুল কলেজ,মাসজিদ,মাদ্রাসা, মন্দির, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্রসহ অারো অনেক প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছেন। মুকসুদপুর - কাশিয়ানীতে শতভাগ বিদ্যুৎসংযোগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শুরু থেকে অাজ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থেকে একটুও বিচ্যুৎ হননি। ১/১১ এ নেত্রীর কারাবরন কালে দলের অনেক বাঘা বাঘা নেতারা গাঁ ঢাকা দিয়েছিলেন। এমন কি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করে নতুন দল গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। অামাদের নেতা মুহাম্মাদ ফারুক খানকে প্রাননাশের হুমকি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল। স্পষ্টভাষী মুহাম্মদ ফারুক খান সকল প্রকার ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য অান্দোলন শুরু করেন। মুহাম্মদ ফারুক খান কখনও লোভ লালসায় পড়ে দলের সঙ্গে বেইমানি করেননি। যার পুরস্কার জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার তাকে দিয়েছেন। তাকে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বানিজ্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যাটন মন্ত্রী করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য করে তার সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যাটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কীত স্থায়ীকমিটির সভাপতি করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর অাওয়ামীলীগের প্রধান সমন্বয়কসহ ঢাকা বিভাগের ৭ টি জেলার প্রধান সমন্বয়ক বানিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য করেছেন।
অামরা মুকসুদপুর -কাশিয়ানীর জনগন নিজেদের ধন্য মনে করি মুহাম্মদ ফারুক খানের মত একজন স্পষ্টভাষী, সৎ, পরিচ্ছন্ন, ও দূর্নীতিমুক্ত মানুষকে নেতা হিসেবে পেয়ে।
(বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর একজন কর্মী আজিম খান রুবেল এর ফেসবুক ওয়াল থেকে)