জন্ম যখন হয়েছে মরতে তো হবেই
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৮ অপরাহ্ন | মতামত

আরিফ আহমেদ:
শিশু হয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছি কিশোরও পার করেছি এখন যুবক, কিছুদিন পর হয়তো বৃদ্ধ হবো তারপর মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ গুনতে হবে। তবে হ্যা, মৃত্যু যেকোনো সময় আর যেকোনো বয়সেই হতে পারে। জন্ম যখন হয়েছে মরতে তো হবেই। মৃত্যুটা প্রাকৃতিক স্বভাবগত অভ্যাস। আমি, আপনি খাইলাম, ঘুমাইলাম, উপার্জন করলাম, পরিবার নিয়ে থাকলাম এই যদি হয় জীবন তাহলে এটা জীবন নয়, এটা হলো বেচে থাকা নামমাত্র। মরে গেলেই দেখবেন, সকলেই আপনাকে ভুলে তো যাবেই এমনকি আপনার পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কেউই মনে রাখবেনা। তবে পৃথিবীতে এমন ব্যক্তি আছে তারা এখনো বেচে আছে, হ্যা হয়তো তাদের জীবন নাই তবে তাদের আদর্শ, তাদের কর্ম এখনো বেচে আছে এবং তা পৃথিবীর বাকি সময় পযন্ত থাকবেই। এই ধরুন আমাদের দেশের কথাই বলি, শেখ মুজিবর রহমান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, বেগম রোকেয়ারা কিন্তু এখনো বেচে আছে আমাদের মাঝে। আসলে ধর্মীয় ব্যক্তিদের কথা নাই বললাম,শুধু জাতীয় ব্যক্তিদের দিয়ে উদাহরণ আনলাম। এখন হয়তো আমাদের ভাবনায় আসতে পারে,আমাকে দিয়ে শেখ মুজিব,জিয়া, এরশাদ এরকম মানুষ হওয়া সম্ভবি না। তাই হতাশ হয়ে ফিরে আসি,আর এটা হতাশ হওয়ার মতোই কথা। তবে আমি, আপনারা একবার কি খেয়াল করেছি, আমাদের পারায় মহল্লায় কিংবা গ্রামে এখনো কিছু ব্যক্তিদের নাম শুনা যায় যদিও তারা এখন জীবিত নাই।ওমুক দেওয়ানি, ওমুক বকশি ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে তাদের কয়েক বংশ পার হয়ে গেলেও তাদের নাম, ডাক আর ভালো কাজগুলার জন্য কিন্তু তারা আজো জীবিত আমাদের মধ্যে। নিজ নিয়ে ভাবলে ভাবনাটা খুব ছোট হয়ে যায়,আর নিজ পর উভয় নিয়ে ভাবলে মেধা, বুদ্ধি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা কিন্তু আমাদের জায়গা থেকে, মানবতার কল্যানের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি। কিন্তু বাস্তব হলেও সত্যি, আমাদের অধিকাংশই আমরা শুধু আমাদের নিয়ে ভাবি, এভাবে বাচা সম্ভব তবে মৃত্যুর পর মানুষের মধ্যে বেচে থাকাটা একদমি অসম্ভব।
আরিফ আহমেদ, তরুন লেখক, অধ্যায়নরত কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।