কার্কিকে সমর্থন দিয়ে সংসদ ভেঙে দিতে বললেন বলেন্দ্র
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে বেছে নিয়েছে সেই দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তরুণদের আইডল হিসাবে খ্যাত কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ। তরুণদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কার্কির ক্ষমতা গ্রহণের পথ সহজ করতে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে মেয়র বলেন্দ্র শাহ কার্কির প্রতি সমর্থনের কথা জানান।
ওলির পতনের পর অন্তর্বর্তী নেতা হিসাবে প্রথমে বলেন্দ্রর নামই উঠেছিলো, কিন্তু আন্দোলনকারীরা তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা কররেও তিনি সাড়া দেননি। বলেন্দ্রর পরে সবচেয়ে বেশি সমর্থন মেলে কার্কির পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতেই নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করেন কাঠমান্ডুর মেয়র।
নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বলেন্দ্র লেখেন, দেশ এবার সোনালী ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জেন জি-সহ নেপালের সকল নাগরিককে দেশে শান্তি বজায় রাখার আহবান জানাচ্ছি। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য ধরুন। নেপাল একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে, যা দেশের নতুন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন পরিচালনার পাশাপাশি এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হল দেশকে নতুন দিশা দেখানো।
এরপরই তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে আপনারা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছেন। আপনাদের এই সিদ্ধান্তে আমার পূর্ণ সমর্থন এবং সম্মান রয়েছে। জেন জি’র এই ঐতিহাসিক বিপ্লব রক্ষা করার জন্য তিনি নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলকে সংসদ ভেঙে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
বলেন্দ্র ও কার্কি ছাড়াও জেন জি’র ভারচুয়াল বৈঠকে উঠে এসেছিল আরও কিছু নাম। তারা হলেন নেপালের বিদ্যুৎ পরিষদের প্রধান কুলমন ঘিসিং, যুবনেতা সাগর ধাকাল এবং ধারানের মেয়র হারকা সামপাং।
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কার্কিকে চায় জেন জিনেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কার্কিকে চায় জেন জি
উল্লেখ্য, কার্কি সম্মতি দিলেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না তিনি। এর জন্য প্রথমে তাকে সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
এরপর প্রেসিডেন্ট পৌডেলের অনুমোদন দিলে তবেই গদিতে বসতে পারবেন প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি। এরপর কি শান্তি ফিরবে বুদ্ধের দেশে, সময়ই বলে দেবে যথাযথ উত্তর।