বাংলাদেশের ফার্মেসি কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করতে হবে
প্রকাশ: ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন | মতামত

অন্য যেকোনো দেশের ফার্মেসি কাউন্সিলের সাথে তুলনা করলে আমরা সম্পূর্ণ হতাশ হব। কেউই বাংলাদেশ কাউন্সিলের প্রতি সন্তুষ্ট নন।
আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা এবং যোগ্য ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা আছেন কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার তাদের ফার্মেসি কাউন্সিলের কাজে নিযুক্ত করেনি। আমাদের মেধা কাজে লাগানো উচিত এবং আমাদের ফার্মেসি কাউন্সিলকে উন্নত করা উচিত।
এই সরকারের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং বাংলাদেশের ফার্মেসি কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করা। অন্যথায় এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক হবে। তা না হলে, দেশের মানুষ ফার্মাসিস্টদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এবং অন্য দেশের সাথে আমাদের দেশের ফার্মেসি পেশা ও শিক্ষার ব্যবধান দিনে দিনে প্রকট হয়ে উঠবে। ফার্মেসি শিক্ষা ও পেশাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়, বিদেশে যারা উচ্চ যোগ্যতার সাথে এই খাতে কাজ করছেন ও সরকারকে একসাথে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর ফার্মেসি কাউন্সিল থাকা দরকার। এটি নিশ্চিত করবে যে ফার্মাসিস্টরা তাদের পেশাগত মান বজায় রাখবে এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হবে।
একটি ভালো ফার্মেসি কাউন্সিল নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারে:
ফার্মাসিস্টদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: কাউন্সিল নিশ্চিত করবে যে ফার্মাসিস্টরা একটি নির্দিষ্ট মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে তারা রোগীদের সঠিক ওষুধ সরবরাহ এবং পরামর্শ প্রদানে সক্ষম হবে।
পেশাগত মান বজায় রাখা: একটি শক্তিশালী কাউন্সিল ফার্মাসিস্টদের পেশাগত মান বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে তারা রোগীদের জন্য সর্বোত্তম সেবা প্রদানে উৎসাহিত হবে।
নৈতিকতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি: একটি ভালো কাউন্সিল ফার্মাসিস্টদের মধ্যে নৈতিকতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করবে। এটি রোগীদের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: একটি শক্তিশালী ফার্মেসি কাউন্সিল জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা: কাউন্সিল ফার্মাসিস্টদের নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির সাথে পরিচিত হতে উৎসাহিত করবে।
ফার্মেসি কাউন্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা ফার্মেসি পেশা এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য কাজ করে। তাই, একটি ভালো ফার্মেসি কাউন্সিল দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য অপরিহার্য।
লেখক : সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক , গবেষক, বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরআইডি), ঢাকা।