৫ লাখ টাকার মুক্তিপণের লোভে শিশুকে হত্যা, জড়িত ভাড়াটিয়া গ্রেফতার
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২৭ অপরাহ্ন | আইন-আদালত-অপরাধ

নুরুল করিম (মহেশখালী):
৫ লাখ টাকার মুক্তিপণকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়ী সাইরাডেইল এলাকার সাইরাডেইল সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ছাত্রী মাহিয়া (৬)কে ওই বাসা ভাড়াটিয়া মুক্তিপনের লোভে লুকাতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এলাকায় পুলিশের তল্লাশি বেড়ে যাওয়ায় হত্যার পর লাশের নদীতে ফেলে দেয়।
টেকনাফ হোয়াইকং চাকমার কুলের মৃত ছৈয়দ করিমের পুত্র সোলাইমান (৩৭) ছাত্রী মাহিয়ার বাড়ীর বাসা ভাড়াটিয়া ছিলেন। ৩ ই ডিসেম্বর বিকালে অপহরণ শিশু মাহিয়ার লাশ পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ডউয়্যাখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার মাতারবাড়ী সাইরাডেইল গ্রামের আয়াত উল্লাহ'র কন্যা শিশু মাহিয়া বাড়ীর পাশের সাইরাডেইল সরকারী প্রাইমারী স্কুলে প্রথম শ্রেনীর নিয়মিত একজন ছাত্রী।। প্রতিদিনের মতো গত ৩০ নভেম্বর বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিকাল পর্যন্ত বাড়ীতে ফিরে না আসায় মা-বাবা সহ আত্বীয় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। পরদিন কিশোরীর পিতা মহেশখালী থানায় একটি জিড়ি করেন। শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরদিন তাদের কাছে ০১৮২২-৫৬১৭ ও ০১৮৬১-৭১১৯০৮ অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে যে মাহিয়া'কে অপহরণ করা হয়েছে বলে। মাহিয়ার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। এদিকে মুক্তিপনের কথা পুলিশকে জানালে অপহরণকারীরা হত্যা করতে পারে বলে ভয় দেখান শিশুটির পরিবারটিকে। অপর দিকে অপহরণের পর শিশুটিকে তিনি তার কক্ষেই আটকে রাখেন। তবে শিশুটি উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করায় মুক্তিপণ না নিয়েই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
শিশু পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সিকদার পাড়া থেকে জড়িত সন্দেহে নারী-পুরুষসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এস আই হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে করেছে। আটকের এক দিন পার হলে শিশুটির লাশও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এর সূত্র ধরে পুলিশ সম্ভাব্য স্থানে তল্লাশী। এ অবস্থায় শনিবার বিকালে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পেকুয়ার উজানটিয়া ডউয়্যাখালী একটি চিংড়ি ঘেরে কিশোরীর সন্ধান মিলে। সন্ধান মিললে ও জীবিত উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার হয়েছে ক্ষত বিক্ষত লাশ। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো মাতারবাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনর্চাজ মোহাম্মদ হাসান পেকুয়া থানা কর্তৃক শিশুটির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তখন নিশ্চিত হয় ভাড়াটিয়া সোলেমান ও তার স্ত্রী এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক করে। এদিকে, শিশু মাহিয়ার হত্যার জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।