সিরাজদীখানে তিন ফসলি জমি ভরাটের পায়তারা
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫২ অপরাহ্ন | পরিবেশ ও জলবায়ু

কায়সার সামির (মুন্সীগঞ্জ) :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরসাইল গ্রামের খালের পাশে তিন ফসলি জমিতে বালু ভরাট করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। ইতোমধ্যে ভেকু দিয়ে জমিতে বালু ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। সেখানে আবাসিক প্লট নির্মাণে ফসলি জমিতে বালু ভরাটের এ প্রস্তুতি চলছে। মোজাফ্ফর মির্জার ছেলে মাসুম মির্জার এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের দিঘীরপাড় মন্ডলবাড়ির পশ্চিম পাশে দিঘিরপাড় মন্ডলবাড়ির ১১৪ শতাংশ তিন ফসলি রয়েছে। ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিক সাত্তার ঢালী নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু মাসুম মিজার্ প্লট আকারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ওই জমিতে বালু ভরাটের কাজ করে যাচ্ছে।এদিকে, বালু ভরাটের জন্য ভেকু দ্বারা ফসলি জমি খনন করা হচ্ছে। এতে আশপাশের ফসলি জমিও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এতে আশপাশের জমির মালিকরা প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে
হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ১১৪ শতাংশ ফসলি জমির প্রকৃত মালিক সাত্তার ঢালী নিজেও জানেন না তার জমিতে বালু ভরাটের কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা সহকারি (ভূমি) কমিশনার তাসনিম আক্তার এ বিষয়ে বলেন, মালখানগর স্কুলের উত্তর পাশে যে কৃষিজমি কাটা হচ্ছিলো। যারা মাটি কাটছিলেন তাদের কয়েকদিন আগে ডেকে আনা হয় এবং তাদেরকে সর্তক করা হয়। তারা আর মাটি কাটবে না স্বীকারোক্তি দিয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আবার শুনতে পেলাম তারা আবার সেখানে কৃষি জমির মাটি কাটছেন। কালকেই ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কাটা সরেজমিন গিয়ে বন্ধ করা হবে বলে জানান ভূমি কর্মকতার্।
এ সম্পত্তির মালিক সাত্তার ঢালী এ বিষয়ে বলেন, আমার অনেক সম্পত্তি রয়েছে। কিন্ত কোরো জায়গার কথা বলছেন তা বলতে পারছি না। তবে আমার কোনো জায়গা ভেকু দিয়ে কৃষিজমি কাটা বা ভরাট করা সম্র্পকে আমার জানা নেই। যদি ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কাটা হয়ে থাকে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বর্তমানে আমি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছি। আর আমার জায়গা দেখাশুনা করেন মাসুম। ওর কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
মাসুম মিজার্ বলেন, ওই জায়গার মালিক কে তা আমি জানি না। কেনার ব্যাপারে আমি কারো সহযোগিতা করিনি। ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কাটার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মাসুম মিজার্ এলাকার চিহ্নিত জমি বেচাকেনার দালাল। তিনি অনাথবন্ধু মন্ডলের ছেলে অভি মন্ডলের কাছ থেকে ১১৪ শতাংশ কৃষিজমি কিনে দেয় সাত্তার ঢালীকে। মাসুম বিভিন্ন সময় মানুষের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করে তাদের কাছ থেকে বেশি জায়গা লিখে নেয় বলেও
অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন বিভিন্ন সময়ে জায়গা কেনাবেচার দালাল মাসুম মিজার্র বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। মাসুম মিজার্র বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতি করার কারণে সিরাজদীখানের এক দলিল লেখকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।#