নিজ মনোবলই বেকারত্ব থেকে মুক্তি দেয়
প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৯, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন | মতামত

আমাকে দিয়ে কি হবে? ভবিষ্যৎ কি? পড়াশুনা করে লাভ কি?
অনেকে অনেক কিছু করতেছে, তুমি কি করবা? এরকম শত শত প্রশ্ন আজ প্রায়শই শোনা যায়। প্রশ্নের জবাবও রয়েছে। যেমন ধরুন এবার বিসিএসে এক হাজার লোক নিবে। পরীক্ষা দিলো এক লক্ষ। পাশ করলো সমান মার্ক্স নিয়া দুই হাজার। কিন্তু পদ হচ্ছে এক হাজার। দুই হাজার সবার সমান যোগ্যতা রয়েছে। তাই জন্য কি এখানে এক হাজার পদের জন্য দুই হাজার লোক নিবে?
না কখনোই না,যেভাবেই হোক এক হাজারই নিবে।
এবার আসুন আসল কথায়, পড়াশুনা করা যদি শুধু চাকরির লক্ষ্য হয় তাহলে সেই পড়াশুনা দিয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ও রাষ্টের জন্য কতোটুকো ভূমিকা রাখতে পারে! প্রশ্ন থেকে যায়।
পড়াশুনা বলতে বুঝি নিজের মান উন্নয়ন করা।
পড়াশুনা করে চাকরি করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। একজন গ্রাজুয়েট যদি অটো চালায় তাতে আপনার এতো কটাক্ষ বিদ্রূপ করার দরকারটা কি?
মনে করুন আপনি একজন অশিক্ষিত লোকের অটো তে উঠেছেন, তখন লক্ষ্য করুন তার ব্যবহারটা কেমন! আর একজন গ্রাজুয়েট করা লোকের অটোতে উঠেছেন তখন লক্ষ্য করুন তার আচরণ কেমন!
যারা পড়াশুনা করে তারাই জানে চাকরির বাজার কতো কঠিন। এই বাজারে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের টিকে থাকাটা কতোটা কঠিন হয়ে দাড়ায়।
একজন শিক্ষিত মানুষের মধ্য বড় গুন হলো সুন্দর ব্যবহার। সুন্দর ব্যবহার দিয়ে পৃথিবীর সকল মানুষের মন জয় করা যাবে। আমরা যাই করিনা কেন, সব কিছু কিন্তু মানুষের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার জন্যই করি।
মনে করুন আপনি পাচ তালা দালানবাড়ি করেছেন! আপনি ইচ্ছা করলে কিন্তু এক তালা দালানবাড়িতেও থাকতে পারতেন কিন্তু কেন পাচ তালা বাড়ি করলেন? কারন মানুষ যেন আপনাকে মূল্যায়ন ও সম্মান করে।
তেমনি বেচে থাকার জন্য যে খুব বেশি বিলাসবহুল করতে হবে তা নয়, শুধু নিজে একটু ভালোভাবে ও মানুষের ভালোবাসা এবং সম্মান নিয়ে বেচে থাকাযায় সেই চিন্তা করুন। কারন পৃথিবী কিন্তু চিরস্থায়ী নয়, জীবনের শেষ বলতে কিছু একটা আমাদের ভাগ্যে রয়েছে।
তাই যতদিন বাচবো সৎ পথে থেকে। নিজের মধ্যে এই জিনিষটা রাখা খুব জরুরি যে, পড়াশুনা শেষ করে যদি চায়ের দোকান দিয়ে খেতে হয় খাবো তাতে কি হয়েছে। আমি চাকরি যেমন করতে পারবো তেমনি চাও বিক্রি করে খেতে পারবো। এতে সম্মান যাওয়ার কিছু নাই। কেননা পড়াশুনা করেছি জ্ঞান অর্জন করার জন্য।
আমি বেকার থাকবোনা, নিজে স্বাবলম্বী হবো যেভাবেই হোক। এই ইচ্ছাটা থাকলে আমার মনে হয় আমরা কেউ বেকার থাকবোনা। চাকরি হয়না তো কি হয়েছে,অন্য কোনো উপায় আল্লাহ বাতলে দিবেন।
মুখ দিছেন যে অবশ্যই তিনিই আহারের ব্যবস্থা করে দিবেন। যা আসবে সামনে তাই করবো স্বাচ্ছন্দ্য। এতে লজ্জিত হওয়ার কিছু নাই।
আমি পারবো, আর আমাকে পারতেই হবে!
আরিফ আহমেদ,
তরুণ লেখক।
অধ্যায়নরত, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।