দিনেদুপুরে স্ত্রীর সামনে যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

 প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৬ অপরাহ্ন   |   আইন-আদালত-অপরাধ

দিনেদুপুরে স্ত্রীর সামনে যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় যুবদলকর্মী বাবুল হোসেনকে (৫০) দিনেদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাকুলিয়া গ্রামের আরশিনগর হাউজিংয়ের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকেও মারধর করা হয়। নিহত বাবুল হোসেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাকুলিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবদলকর্মী এবং কুল্লা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পর পর দুইবারের ইউপি সদস্য ছিলেন। নিহতের ভাতিজা মোমিন হাসান বলেন, জুমার নামাজের সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আরশাদ, শওকত, শরিফসহ তার সহযোগীরা আমার চাচাকে কুপিয়ে চোখ তুলে হত্যা করেছে।   তিনি বলেন, আমার চাচা ও চাচি কৃষিকাজ করতেন। সকাল থেকে তারা ওই হাউজিংয়ের ভেতরে সরিষার গাছ শুকাচ্ছিলেন। নামাজের সময় আমার চাচি চাচার জন্য বাসায় খাবার আনতে যান। তিনি ফিরে এসে দেখেন হামলাকারীরা আমার চাচাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে।তিনি আরও বলেন, আমার চাচী তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করেন। পরে তিনি পাশের মসজিদে এসে বিষয়টি খুলে বললে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাচাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত বাবুলের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী দুপুরে সরিষা গাছ শুকানোর জন্য জমিতে যায়। এ সময় আমাদের পাড়ার আফসার, আরশাদ, মনিরসহ আরও কয়েকজন ধারালো অস্ত্র ও লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে দুই চোখ উপরে ফেলে এবং মাথা থেতলে দেয়।  


তিনি বলেন, আমার স্বামী ১২ বছর মেম্বার ছিলেন, তিনি কখনো কোন অন্যায় কাজে জড়িত ছিলেন না। আমি তাকে মেম্বারি না করে ক্ষেত চাষ করে খেতে বলেছিলাম।  অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার স্বামীকে আজ প্রাণ দিতে হলো। এখন আমি আমার ছোট দুই ছেলে নিয়ে কোথায় যাব?


আরশিনগর হাউজিংয়ের মালিক তৌহিদ বলেন, এমন ঘটনা আমিও শুনেছি। তবে কে বা কারা তাকে মেরেছে, বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি। ইউপি সদস্য হিসেবে বাবুল হোসেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, বিকেল ৩টার দিকে মৃত অবস্থায় ধামরাই থেকে বাবুল হোসেন নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর আমরা পেয়েছি। মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেলে রয়েছে। আমিসহ কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছি। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।



আইন-আদালত-অপরাধ এর আরও খবর: