জামায়াত আমিরের হার্টে ব্লক, জরুরি সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসায় হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। যে কারণে দ্রুত তার বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে ‘রিং পরানো’র (স্টেন্টিং) ব্যবস্থার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। 

বুধবার (৩০ জুলাই) জামায়াত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

পিএস বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতাকালে হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যাওয়ার পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। বুধবার কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের অধীনে সম্পন্ন হওয়া এনজিওগ্রামে হার্টে তিনটি মেজর ব্লক ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টি না করে বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন।

নজরুল ইসলাম জানান, দলীয়ভাবে তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি এটি নাকচ করেছেন। জানিয়েছেন দেশের চিকিৎসার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা আছে। তাই দেশেই জরুরি ভিত্তিতে এখন তার বাইপাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান এবং তার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী।

 গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ছিল। সেখানে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান ডা. শফিকুর রহমান। তবে কয়েক সেকেন্ড পরই তিনি মঞ্চে বসেই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এবং কয়েক মিনিট কথাও বলেন। 

বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই জামায়াত আমিরকে ধানমণ্ডির শংকরের ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বড় কোনো জটিলতা না পাওয়ায় ওই রাতেই বাসায় ফিরেন জামায়াত আমির। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।

আমিরের সুস্থতা কামনায় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।