ছাত্রলীগের মাঝে এটা কোন ছাত্রলীগ?
প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট ২০১৯, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন | মতামত

হৃদয় তালুকদার:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন।১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ গঠন করেন।শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির চেতনাকে মুল উদ্দেশ্য রেখে ছাত্রলীগ গঠন করা হয়।বাংলাদেশ অাওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের অবদান অপরিসীম।
ছাত্ররা রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশগ্রহন করে রাজনীতিতে প্রগতির দ্বার উন্মোচন করবে, জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্ররা ভুমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৭২ টি বছর।
৫২ 'র ভাষা অান্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ভুমিকা অনস্বীকার্য।
৫৪ সালের যুক্তফ্রণ্ট নির্বাচনে জয়লাভ,৫৮ র অাইয়ুব বিরোধী অান্দোলন,৬২ র শিক্ষা অান্দোলন, ৬৬ র ৬ দফা অান্দোলন,৬৯ র গণ অভ্যুত্থান,৭০ র নির্বাচন এবং ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে জোরালো ভুমিকার ফলে বাঙ্গালির মুক্তির সনদে স্বমহিমায় জনমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া এই ছাত্রলীগ।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে অানতে ছাত্রলীগের ভুমিকা ছিলো অনন্য।সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ছাত্রলীগের গর্ব করার মতো জায়গা তো রয়েছেই।
শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা এবং বিদ্যার সঙ্গে বিনয় এই নীতিকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের পথচলা শুরু হয়েছে।
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী অান্দোলনেও ছাত্রলীগের জোরালো ভুমিকা রয়েছে।অঙ্গসংগঠন হলেও অাওয়ামীলীগে ছাত্রলীগের গুরুত্ব অত্যধিক।অাওয়ামীলীগের প্রতিটি সাংগঠনিক কার্যক্রম ছাত্রলীগ ব্যতিত সম্ভব হয়না।নেতৃত্ব তৈরী হয় ছাত্রলীগ থেকে।জাতীয় নেতাদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থেকে অতীতেও এসেছেন বর্তমানেও অাসছেন।তাই দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অপরিহার্য অঙ্গ।
ছাত্রলীগ এর প্রধান উদ্দেশ্য ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া।
কবি নজরুলের মতোই ছাত্রলীগ "মম এক হাতে বাকা বাশের বাশরী অার হাতে রণতুর্য"
শুধু অান্দোলন সংগ্রামই নয় অসহায়ের পাশে দাড়ানো,ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান,শীতার্তকে শীতবস্ত্র,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,পথশিশুদের পাশে দাড়ানো,রক্তদান,ভ্রাম্যমান শিক্ষাদান,পরিবেশ রক্ষা কর্মসুচীর মতো মানবিক কাজেও ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের খ্যাতি রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন অাওয়ামীলীগের অামলে ছাত্রলীগ বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমুল পর্যায়ে ছাত্রলীগ কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে নানানরকমের হতাশার জন্ম দিচ্ছে।
ছাত্রলীগ শুধুই একটি সংগঠনের নাম নয়।এটি একটি অাবেগের নাম,ভালোবাসার নাম।হাজারো নেতাকর্মীর অনুভুতি জড়ানো রয়েছে ছাত্রলীগের মাঝে।বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগে অসংখ্য নেতা।ছাত্রলীগে যেন অার অাবেগ অনুভুতি নেই।কেমন যেন হতাশা অার দীর্ঘশ্বাসেে ভরে গেছে।
অনুপ্রবেশকারীরা ইচ্ছামতো দলে ঢুকে পড়ছে। শুধু ঢুকেই ক্ষান্ত নয়।দলকে বিতর্কিত করতে, বিভক্ত করতে বেশ তৎপর।যদিও সাংগঠনিক দায় ছাত্রলীগেরই।ত্যাগী এবং প্রকৃত নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়ে হাইব্রীড,সুবিধাবাদী,চাটুকার দের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করছে ছাত্রলীগের নেতারাই।নিজেদের গ্রুপিং কে শক্তিশালী করতে বাইরের দল থেকে বিভিন্ন জনকে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
রাজপথের সৈনিকেরা অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
প্রযুক্তির অাশির্বাদে ফেসবুক এখন সবার হাতের মুঠোয়।ফেসবুক নির্ভর রাজনীতিও বেশ ভাঙ্গন সৃষ্টি করছে ছাত্রলীগের মাঝে।হাইব্রীডরা বিভিন্ন তোষামোদী ও চাটুকারী পোস্ট দিয়ে নেতাদের খুশি রাখছে।তেল মাখানো সুন্দর সুন্দর ছবি এবং লেখনীর মাধ্যমে নেতাদের মন খুব সহজেই জয় করে ইচ্ছামতো দল থেকে ফায়দা লুটছে।
তৃণমুল পর্যায়েও বেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে এই শ্রেণীগুলো।
অারো এক নতুন পলিসি বের করেছে পোস্টবাজ নব্য ছাত্রলীগাররা।কারো সাথে সামান্য বাক বিতণ্ডা হলেই তাকে জামাত/শিবির/ছাত্রদল বলে অাখ্যায়িত করে প্রচার চালিয়ে দিচ্ছে।কেউ নিরপেক্ষ বা সাধারণ ছাত্র যদি নব্য ছাত্রলীগারদের সাথে একাত্ম না হয়ে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে শিবির বা নিষিদ্ধ কোন সংগঠনের লোক বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।এটা কোন্ ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য?
এরা অাওয়ামীলীগ সহ ছাত্রলীগের বড় বড় পদধারী নেতাদের সাথে সেলফি বা ছবি তুলে ফেসবুকে অাপলোড দিয়ে সাথে রং চং মাখিয়ে তেল মালিশ করা লিখা লিখে পোস্ট করে দিচ্ছে এবং তাদের অাস্থাভাজন হবার চেষ্টা করছে।লক্ষ্য তাদের একটাই।দলের বড় পদ পাওয়া এবং কিভাবে মধু খাওয়া যায় সেই ধান্দা।এরা মোটেই ছাত্রলীগ বা বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক নয়।এরা সুবিধা প্রেমিক।দলের দুঃসময়ে এদের পাওয়া যায়না।কোথাও কোন জটিলতা দেখা দিলে এরা লাপাত্তা।কিন্তু এখন সুসময়ে এরা দলে ঢুকে ঠিকই সুবিধা অাদায়ে ব্যস্ত।
মুলদল অাওয়ামীলীগও দায় এড়াতে পারেনা।ছাত্রলীগের এই ক্রান্তিকাল তাদের জন্যই।অাওয়ামীলীগের অনেক নেতারা নিজেদের গ্রুপিং কে বড় করতে বাইরের অনুপ্রবেশকারীদের দলে প্রবেশ করাচ্ছেন।সুবিধা দিচ্ছেন।ক্ষমতার বলে তাদের কমিটিতে স্থান দিচ্ছেন।ত্যাগী এবং প্রকৃতদের কাদাচ্ছেন।দুরে সরিয়ে দিচ্ছেন।নিজের স্বার্থে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছেন। তারা প্রতিনিয়ত ভুলেই যাচ্ছেন যে সেদিনের ত্যাগীদের ত্যাগের ফসলই অাজকের ক্ষমতাসীন অাওয়ামীলীগ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ছাত্রলীগ করেছেন।ছাত্রলীগের অাবেগ তার অজানা নয়।তিনি বারবার নেতাদের হুশিয়ারী সংকেত দিচ্ছেন যাতে দলে অনুপ্রবেশকারী না ঢুকতে পারে।কমিটিতে নিজের লোক নয়,দলের লোকদের স্থান দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
যেখানে সেখানে মারামারি সংঘর্ষ হচ্ছে।মিডিয়াসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সেগুলোর নিউজ হচ্ছে।কোন পত্রিকা ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ হিসেবে এবং কোন পত্রিকা ছাত্রলীগ বনাম শিবির বা ছাত্রদল হিসেবে নিউজ করছে।এটা কি শুরু হলো ছাত্রলীগে।যাদের শিবির বা ছাত্রদল হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে তারাও অাবার নিজেদের ছাত্রলীগ বলে দাবী করছে।এটা অবশ্যই ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ব্যর্থতা।
তৃণমুলে কমিটি হয় ইচ্ছামতো।উপজেলা, জেলাতেও হচ্ছে বিতর্কিত কমিটি।প্রশ্নবিদ্ধ কেন্দ্রীয় কমিটি।নেশা,মাদক ও অন্যদলে সম্পৃক্ততার প্রশ্ন উঠছে কমিটিতে বড় পদধারীদের প্রতি।অমুক ভাই,তমুক ভাই,প্রাণের ভাই,কলিজার ভাই,অভিভাবক ভাই এসব চাটুকারী বাক্যবিন্যাসে অাজ ছাত্রলীগ দিগভ্রান্ত। ছাত্রলীগ যেন অার ছাত্রলীগ নেই।হয়ে গেছে অাওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নব্য নেতা ভাই লীগ।
কোন পথে যাচ্ছে ছাত্রলীগের রাজনীতি???
তবে এটাও একটা বড় ক্যান্সার ছাত্রলীগে যে ব্যাপকহারে নেশা ও মাদক সেবী ছাত্রলীগে পদ পাচ্ছে।জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ।এমনটাই যদি হয় তবে শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির পতাকা উড়িয়ে কি লাভ?এই ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ নয়।এটা ছাত্রলীগের ঘরের ভেতরে অশুভ কোন অাত্মার অারেক ঘর।এটা বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের ছাত্রলীগের পথে বড় অন্তরায়।
এ কোন ছাত্রলীগ যারা সাধারণ ছাত্রদের কাছে ইতিবাচক নয়?এ কোন ছাত্রলীগ যারা শান্তি নষ্ট করছে?এ কোন ছাত্রলীগ যারা প্রতিটি মুহুর্তে দলের ইমেজ সংকটের কারণ হচ্ছে?
এমনিতেই গুজবের বাংলাদেশে গুজবের অভাব নেই।তার ওপর যদি প্রতিটি অন্যায়ের দায় ছাত্রলীগের উপর বর্তায় তবে ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ কি?
জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিবাচকতার ব্র্যাণ্ড এম্বাসেডর হিসেবে ছাত্রলীগকে দেখতে চান।কিন্তু অামরা তাকে কোনটা দেখাচ্ছি?
ছাত্রলীগের মাঝে এ কোন্ ছাত্রলীগ?
ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অঙ্গ হয়েও কমিটির সময় গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।কেন্দ্র, জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন সবক্ষেত্রেই অনিয়ম।অছাত্র,উদ্ভট,উন্মাদদেরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো বড় বড় পদে অধিষ্ঠান করার ঘৃণ্য নজীর ছাত্রলীগে চলে এসেছে এর থেকে হতাশার অার কি হতে পারে?
অতীতে ছাত্রলীগ ছিলো গোটা রাজনীতিতে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগের কাছেই ছাত্রলীগ নিরাপদ নয়।পরম শত্রুদের দলে জায়গা দিয়ে তাদের ক্ষমতা দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে দলকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে।অবিশ্বাস অার হিংস্রতার বিষে ভরে গেছে দল।এখন পরিবর্তন দরকার।
দায় এড়িয়ে চললে পরিবর্তন সম্ভব নয়।ছাত্রলীগের জন্মই হয়েছে মানবতার কাণ্ডারী হিসেবে।যেখানে বৃষ্টি সেখানেই ছাতা ধরবে ছাত্রলীগ এমনটাই নীতি ছাত্রলীগের।সেই ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করছে কারা?
দলে সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হলে এর থেকে বেরিয়ে অাসা সম্ভব।
গৌরব ঐতিহ্যে ফিরে এসো ছাত্রলীগঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার গৌরবের সোনালী অতীতের মতো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে এটা এখন সময়ের দাবী।যত বাধা অাসুক, যত অন্ধকার অাসুক সবকিছুকে জয় করতেই হবে।নবীনদের মেধা কাজে লাগিয়ে মহান স্বাধীনতার চেতনা বিধৌত একটি বাংলাদেশ গড়বে ছাত্রলীগ সেই পথে যেন কোন গর্ত সৃষ্টি না হতে পারে এটা ছাত্রলীগকেই দেখতে হবে।স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ছাত্রলীগের শ্রমের মাধ্যমে,মেধার মাধ্যমে এমনটাই সবার প্রত্যাশা।
"মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত অামি সেইদিন হবো শান্ত" নজরুলের এই বাক্যটি ছাত্রলীগকে প্রয়োগ করতে হবে।অন্যায়,অপকর্ম,চাটুকারীতা,হাইব্রীডের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকেই বিদ্রোহ করতে হবে।"অাগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রাণে এ জীবন পুণ্য করো"রবি ঠাকুরের এই বাক্যও সফল করতে হবে ছাত্রলীগের মাঝে।পরিপুর্ণ বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের ছাত্রলীগ বের করে অানতে হবে।
ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস।গৌরব ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যের পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে ছাত্রলীগ।
তাই ছাত্রলীগকে ভ্রান্ত পথ হতে ফিরে অাসতেই হবে।বিভ্রান্ত হয়ে দিকভ্রান্ত হলে চলবেনা।অাসল মানিক চিনতে হবে।সুবিধাবাদী দুর করতে হবে।ত্যাগীদের মুল্যায়ন করতে হবে।সঠিক নেতৃত্ব তুলে অানতে হবে।নেতারাই পারবেন যদি সদিচ্ছা থাকে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ হলে কোন কথাই থাকবেনা।ছাত্রলীগ ফিরে অাসবে তার ঐতিহ্য ও গৌরবের জায়গায়।পরহিতে নিজেকে বিসর্জন দেবার যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা যেন সফল হয়,সার্থক হয়।
বঙ্গবন্ধুর রক্তে বাংলাদেশ রঞ্জিত।শোককে শক্তিতে পরিণত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অালোর পথে এগিয়ে যেতেই হবে।এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,জয় হোক মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার।জয় হোক মানবতার।জয় হোক প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।